না আর শেষ রক্ষা হল না।
টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পরও জীবনযুদ্ধে হার মানতে হল পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের গণধর্ষণের ঘটনার নির্যাতিতাকে।
শুক্রবার সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা গেল দশম শ্রেণির সেই ছাত্রী।
গত ২৫ আগস্ট শনিবার সন্ধেয় কোলাঘাটের বাগডিহা গ্রামে মাঠের ধারে প্রেমিকের সঙ্গে বসেছিল ওই দশম শ্রেণির ছাত্রী। তখনই প্রেমিককে গাছে বেঁধে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে চার দুষ্কৃতী। এরপর বাড়ি ফিরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই নাবালিকা। কিশোরীকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় নার্সিংহোমে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর সঙ্গে এলাকারই এক কিশোর শুভম তুঙ্গের সম্পর্ক ছিল। দুই বাড়িতেই সম্পর্কের কথা জানত। কিন্তু এলাকায় ওই যুবকের খুব একটা সুনাম ছিল না। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। ওইদিন ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ওই কিশোর। সেখানেই বাকি চারজন অপেক্ষা করছিল। এরপরই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোর ও তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ৪ জনের মধ্যে তিনজনই প্রাপ্তবয়স্ক, একজন নাবালক। ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ পাত্র, সমীর মণ্ডল ও সমীর দোলই। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। নাবালককে পাঠানো হয়েছে হোমে।
এদিকে, ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তারা। এই ঘটনায় স্কুলের ছাত্রীরা এবং সাধারণ নাগরিক সমাজ ছাত্রীর গ্রাম যোগীবেড় থেকে দেউলিয়া বাজার অবধি ধিক্কার মিছিল করে।