সম্প্রতি ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে অভিনেতা ফেরদৌস এবং গাজী আবদুন নূরের ভিসা বাতিল করেছে ভারত। ফেরদৌস গত মঙ্গলবার আইনী প্যাঁচে পড়ে ঢাকায় ফিরে গেছেন।
অভিনেতা ফেরদৌস ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার জন্যে প্রচুর জনপ্রিয় হয়েছেন।
ফেরদৌস–নূর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে অভিনয় করা বাংলাদেশের অন্যান্য অভিনেতা–অভিনেত্রীদের ওপর সৃষ্টি হয়েছে চাপ।
ওপার বাংলার কলা–কুশলিরা ভারতে চলচ্চিত্রের কাজ করছেন, তারা সঠিক আইন মেনে করছেন কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অভিনেতা নূর বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি ভারতে রয়েছেন ২০১১ সাল থেকে। তিনি দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের প্রচারণার একটি রোডশো– তে অংশ নেন।
বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘রানী রাসমণি’র রাজা রাজচন্দ্র চরিত্রে অভিনয় করছেন নূর।
অন্যদিকে ফেরদৌস ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে ‘দত্তা’ ছবির শুটিং করছিলেন। ছবির বাকি অংশের শুটিং লোকসভা নির্বাচনের পরেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে ওপার বাংলায় ফিরেছেন তিনি।
দত্তা’র পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী জানিয়েছেন লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত শুটিং হবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি জানিয়েছেন যে, ফেরদৌস যদি ভারতের ভিসা না পান, তাহলে ভবিষ্যতে কি হবে, সেটা এখনি বলা সম্ভব নয়।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু তিনি ফেরদৌসের অপেক্ষায় থাকবেন, একথা জানিয়েছেন।
টলিউডে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের প্রচুর অভিনেতা–অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী জয়া আহসান জানিয়েছেন, তিনি সমস্ত আইন মেনেই নিজস্ব কাজ করছেন। প্যান কার্ড বানিয়েছেন, এবং জিএসটি ট্যাক্স দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
ভারতে হামেশাই অভিনয় করা শাকিব খান, নুসরত ফারিয়া, বিদ্যা সিনহা মিম সহ জানিয়েছেন যে, কাজের অনুমতি নিয়েই তারা ভারতে চলচ্চিত্র জগতে কাজ করছেন। নুসরাত ফারিয়া সম্প্রতি টলিউডের নামি প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘বিবাহ অভিযান’–এ কাজ করছেন।