আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবস (international youth day)। আজ তাদের দিন যাদের হাতে দেশের উন্নতির বা অবনতির বীজ রাখা আছে। তারাই পারে সমাজ বদলাতে। শরীরের শক্তি আসল নয়, মনের শক্তিটাই আসল। শরীরের শক্তি পশুরও থাকে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে মেধা, মনন, বুদ্ধি, বিজ্ঞানের দ্বারা।
একটি আদর্শ যুব সমাজ গড়ার পথের শুরুতে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের শিশুরা। প্রত্যেক অভিভাবক এবং শিক্ষকদের উচিৎ তাদের সঠিকভাবে মানুষ করে তোলা, সামাজিক, রাজনৈতিক সব প্রেক্ষাপটেরও গুরুত্ব আছে।
বাচ্চারা তারা যেন ভয়হীন ভাবে বাঁচতে পারে, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়,জ্ঞানের আলোয় নিজেদের এবং সমগ্র বিশ্ববাসীকে যেন আলোকিত করতে পারে।
যুব সমাজকে শুধুমাত্র পুঁথিগত শিক্ষায় আবদ্ধ রাখলে হবেনা, এদেরকে “মানুষ গড়া”র শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। “কূপমণ্ডুক” হলে হবে না, হতে হবে একদম ঈগল,যে ঝড়-জলে থেমে না পড়ে মেঘের উপর দিয়ে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়। কোনো ঝড়কে ভয় নয়, জয় করতে হবে।
আমাদের যুব সমাজকে যোগ্য তৈরি করতে হবে, যাতে তারা তাদের মাতৃভূমিকে সবসময় আগলে রাখতে পারে। যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম এভাবে ভালোভাবে গড়ে ওঠে।
উল্লেখযোগ্য যে,প্রতি বছর ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস international youth day পালিত হয়।১২ আগস্ট ২০০০ সালে প্রথম উদযাপিত হয়েছিল এই যুব দিবস।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস international youth day জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সুপারিশের পরে ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছিল। যুব দিবসের মূল উদ্দেশ্য সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ঘটনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে যুবকদের অংশগ্রহণ আর মতামত আলোচনা করা। অর্থাৎ তাদের যেন আরো আরো বিকাশ হয়।
প্রতি বছর জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক যুব দিবসের জন্য একটি থিম নির্বাচন করে।
আজও স্বামীজির কিছু শক্তিশালী বাণী দেখে নেবো:
তিনি বলেছেন, ‘যারা তোমায় সাহায্য করেছে, তাঁদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কোনওদিন ঘৃণা করো না। আর যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।’
উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দৃপ্ত হও। যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নাও। আর এটা সব সময় মাথায় রেখো, তুমিই তোমার নিয়তির স্রষ্টা। তোমার যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন, সবটা তোমার মধ্যে আছে। নিজের ভবিষ্যত্ নিজেই তৈরি করে নাও।
নিজেকে কখনই দুর্বল ভেবো না, কারণ এটাই সবচেয়ে বড় পাপ।
সংগ্রাম যত বড় হবে, বিজয়ও তত গৌরবময় হবে।