“প্রায় সওয়া এক বছর ধরে তাঁরা হাড়ে হাড়ে বুঝছেন! বিজেপিকে ‘বন্ধু’ ভাবলে ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত হবে। জেনে শুনে এই বিপদ ডেকে আনবেন না। সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্তি পেতে বামপন্থীদের পাশে থাকুন”। বাংলায় এসে মানুষের কাছে এমনটাই আর্জি জানালেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
নিজের রাজ্যে ভোট মিটে যাওয়ার পরে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
দক্ষিণবঙ্গে একগুচ্ছ সভা করে তিনি বলছেন, “তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিকে বেছে নেওয়ার ভুল করবেন না ভুলেও! ত্রিপুরার দিকে তাকান। মাত্র ১৪ মাসে তারা ত্রিপুরায় যা করেছে, তাতে তৃণমূলের সন্ত্রাসকেও ছাপিয়ে যেতে চাইছে। এদের ডেকে আনবেন না। মারাত্মক ভুল হবে। আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে”।
দক্ষিণ কলকাতা সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে সোমবার সভায় উপস্থিত ছিলেন মানিকবাবু।
ভয়াবহ পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে মানিকবাবুর আবেদন জানান, “গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এমন সাংসদদের নির্বাচিত করতে হবে, যারা মানুষের দাবি নিয়ে লোকসভায় লড়াই করবেন”।
প্রচারে এসে, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেন। বলেন, সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপি পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ৯৬ শতাংশ আসনে বিরোধীদের প্রার্থীই দিতে দেয়নি। লোকসভা ভোটে শাসক দলের সন্ত্রাস ও বেনিয়মের চোটে একটি আসনের নির্বাচন পিছোতে হয়েছিল, অন্যটি নিয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনাধীন। রাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্পে ৯২ দিন কাজ হতো যেখানে, এখন তা ৪০ দিনে নেমেছে। কর্মসংস্থানের কোনও দিশা নেই। এমনকি, কবি-চিন্তাবিদদের মূর্তিও ধ্বংস করছে তারা।
মঙ্গলবার, আমতলায় ফুয়াদ হালিম এবং হরিণাভিতে বিকাশ ভট্টাচার্যের প্রচারে যাওয়ার খবর রয়েছে।