এনআরসির বিরুদ্ধে ফের সরগরম হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি জনতার উদ্দেশে জানালেন ‘‘এখানে (বাংলায়) এনআরসি করা হবে না। আমি বলছি মানে, রাজ্য সরকারের হয়ে বলছি। অসমে করেছে, কারণ ওখানে বিজেপি সরকার। এখানে আমাদের সরকার। এনআরসি করা হবে না। রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হবে না’’।
ভোটার তালিকা থেকে অকারণে নাম বাদ দেওয়া না হয়, সে নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য, অসমের পর এনআরসির শংকা গ্রাস করছে বাংলাকে।
চলতি মাসেই কলকাতায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ‘এক জন অনুপ্রবেশকারীকেও থাকতে দেব না’।
বিজেপি সভাপতি আরো জানালেন, শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই এনআরসি হবে।
সোমবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই নিজেকে রাজ্যের ‘পাহারাদার’ বানিয়ে বলেন, ‘এখানে এনআরসি হতে দেব না। আমি আপনাদের পাহারাদার। একটা মানুষকেও বাংলা থেকে যেতে দেব না।’
এনআরসির বিরোধিতা করতে গিয়ে এদিন রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘যারা দেশে নবজাগরণের ঘটিয়েছেন, যাদের আন্দোলননে দেশ স্বাধীন হয়েছে তাঁরাই আমাদের এদেশে থাকার অধিকার আর্জন করেছেন। তাই কোনও দেশবাসীকে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়াতে পারবে না।’
মমতার কথার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘এনআরসি হবে কিনা, তা ঠিক করবে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই নাগরিকত্ব বিল পাশ হবে সংসদে। তার পরে এই রাজ্যে এনআরসি হবে।’’