হে ঈশ্বরচন্দ্র ! ‘কোন পীড়ারূপ অরি বাণাঘাতে পারে বিঁধিতে, হে বঙ্গরত্ন । এ হেন রতনে’ ?
ফুলে যতই কীটের দংশন হোক , ফুল কিন্তু পুনরায় ফোটে ! কিছু অর্বাচীনের দ্বারা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা বাংলার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, প্রমাণ দিলেন প্রয়াত সুপ্রিয়া দেবীর নাতি অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বাংলার মডেলিং জগতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আলোড়ন ফেলেছেন ।
আপামর বাঙালির মতো অভিনেতা শনেরও বাংলা শেখার একমাত্র আশ্রয় বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’। সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগেই বাংলা শিখতে শুরু করেছিলেন তিনি কলেজে পড়াশুনা কালেই।
শনের ছেলেবেলা কেটেছে নৈনিতালে। সেখানেই পড়াশুনা তাঁর। বাংলা ভাষা শনের পাঠ্যক্রমে কোনদিন ছিল না। কিন্তু মাতৃভাষার প্রতি টান সবসময়ই তাঁর নিবিড় ।
তাঁর চেহারা এবং হিন্দি অ্য়াকসেন্ট যথেষ্ট ভাল হওয়ার ফলে বলিউডে নিজের কর্মজীবন প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন। এটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু শন বাংলাতেই অধীর আগ্রহ সহকারে কাজ করতে চেয়েছেন এবং তার জন্যে অনেক আগে থেকেই নিজেকে পুরোদমে প্রস্তুতও করছেন।
কলকাতায় বড় হয়েছেন এমন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যাঁরা শুদ্ধ বাংলা বলতে অক্ষম। অথচ একটি সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার শন ব্যানার্জী বাংলায় শেষ করলেন । সম্প্রতি ‘ফেস আনোখি’-র আনুষ্ঠানিক লঞ্চ-এ এসে অন্তরঙ্গ আলাপনে শন জানালেন তাঁর বাংলা শেখার কিছু কথা।
তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে নিজের উৎসাহ, তাগিদে মাতৃভাষা রপ্ত করেছেন। ‘বর্ণপরিচয়’ থেকে প্রাথমিক বাংলাটুকু শিখে, শন এর পরে সাহায্য় নেন ইউটিউব টিউটোরিয়ালের।
প্রখ্যাত অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আমি সিরাজের বেগম ‘ধারাবাহিক দিয়ে শুরু করেছিলেন তাঁর টেলিভিশন কেরিয়ার ।