পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক বহু প্রকল্পের সূচনা করেছেন, বর্তমানেও করছেন। কিন্তু আদৌ জনসংযোগমূলক সে সমস্ত প্রকল্প বা সেবা গরিব মানুষের দ্বার পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কিনা, তা দেখার দায়িত্বও তাঁর। কিন্তু তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে সেটা যে হয়ে উঠছে না, তা আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল ৭০ বছরের বৃদ্ধার গায়ে আস্ত ঘরটা ভেঙে পড়ার মাধ্যমে।
কোতুলপুরের মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশবন গ্রাম নিবাসী আঙুর রায়ের শরীরে ভেঙে পড়ে ভাঙাচোরা ঘরটি। সে সময় তিনি শুয়ে ছিলেন।
সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রকল্পের আওতায় একটি মাথা গোঁজার ঠাই নিশ্চিত করার জন্যে দিনের পর দিন ঘুরেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী, পঞ্চায়েতের দরজায়। কিন্তু কোন জননেতাই বৃদ্ধার কথায় কর্ণপাত পর্যন্ত করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর এবার তো টিনের ছাউনিসহ আস্ত মাটির ঘরটাই ৭০ বছর বয়সী প্রৌঢ়ার শরীরে হুড়মুড়িয়ে পড়ল। স্থানীয়রা কোনমতে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
আঙুর দেবীর পা ভেঙে গেছে। চোখে সাংঘাতিক আঘাত লেগেছে তাঁর।
পলাশবন গ্রামে বাস করে মোট ৩৫ টি পরিবার। তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থাই নুন আনতে পান্তা ফুরায়। সরকারি কোনও আবাস যোজনাতেই বাড়ি জোটেনি তাঁদের।
যে মানুষগুলোর ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেবার চিন্তা অস্থির করে তোলে, তাঁরা কি করে ‘দিদিকে বলো’ ডিজিটাল পরিষেবার মাধ্যমে ৭ ইঞ্চি স্মার্ট ফোন ক্রয় করে নিজেদের অভিযোগ জানাবেন?
কিভাবেই বা তাঁরা www.didikebolo.com-ওয়েব সাইটে মতামত বা অভিযোগ করবেন?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই মানুষগুলোর প্রতি একটু দৃষ্টিপাত করুন।
পলাশবনগ্রামবাসী এবার দিদির মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, তাঁদের মাথা গোঁজার স্থানটুকু অন্তত মমতা করে দেবেন, এই আশায়!