কলকাতা: জীবনের আদি অনন্ত শিক্ষক মা (maa) ।তার তুলনা নেই। সন্তানকে মানুষ করার জন্যে মায়ের (maa) ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবে না। মা (maa) যা শিক্ষা দেন, যেভাবে শিক্ষা দেন– সেই শিক্ষা আমৃত্যু সন্তান বহন করে।
মা (maa) সন্তানের জীবনের প্রথম পাঠশালা। তাই সন্তান আদর্শ ও সৎ হওয়ার পিছনে মায়ের (maa) ভূমিকা বেশি।
একটি সন্তান পৃথিবীতে কত বড় হবে, কত ভালো হবে, কতটুকু দেশের সেবা করবে এর প্রায় অনেকটাই নির্ভর করে মায়ের (maa) উপর। বাবারাও শিক্ষা দেন, তবে সন্তানের ওপর মায়ের (maa) প্রভাব বেশি থাকে।
সেজন্য সর্বাগ্রে মা-কে (maa) সচেতন হতে হবে। সন্তানকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং তা যথার্থভাবে বাস্তবায়নের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন বলেছিলেন, ‘আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হলেন আমার মা। মায়ের কাছে আমি চিরঋণী। আমার জীবনের সব অর্জন তারই কাছ থেকে পাওয়া নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা আর শারীরিক শিক্ষার ফল।’
মায়ের (maa) থেকে পাওয়া নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চলতে হয় গোটা জীবন। এটাই পুঁজি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানুষ ধীরে ধীরে ভুলে যায়, কিন্তু মায়ের শিক্ষা ভোলে না।
জীবনে চলতে চলতে অনেক ঘটনা-শিক্ষা-অভিজ্ঞতা যোজন বিয়োজন হয়। কিন্তু মূল ভিত তো মায়ের থেকে পাওয়া ওই শিক্ষা। এ ভিতের ওপর ভর করেই একেকটি সাধারণ মানুষ হয়ে ওঠেন আদর্শ ব্যক্তিত্ব। দায়িত্ব নেন সমাজ নির্মাণের। দেশ নির্মাণের।