পঞ্চম দফার ভোটে দিনভর উত্তপ্ত বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র। বিকেলেও সেই উত্তেজনা অব্যাহত ছিল। বারাকপুর স্টেশন লাগোয়া শহিদ মঙ্গল পাণ্ডে রোডে নাট্যকার চন্দন সেনের আবাসনের নিচে আক্রান্ত হয়েছেন এক সিপিএম নেতা।
অভিযোগ, বাম সমর্থক হওয়ার কারণেই ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেছে স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন আবাসনের কয়েকজন।
আক্রান্ত সিপিএম নেতার নাম দেবাশিস পাল। পেশায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বারাকপুরের অন্যতম জমজমাট এলাকা জেপি হাউস নামে আবাসনের নিচে একটি ক্যাম্প অফিস করেছিল বামেরা। সেখানেই ছিলেন দেবাশিস বাবু।
অভিযোগ, এদিন বিকেলে আচমকা তাঁর উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। দেবাশিস পাল ছাড়াও ওই ক্যাম্প অফিসে ছিলেন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একজন। মারধর করা হয় তাঁকেও। জানা গিয়েছে, তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আবাসনের বাসিন্দারাও।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তরা। বাম কর্মী দেবাশিস পালকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও বামেদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন শাসকদলের স্থানীয় নেতা, কর্মীরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
পঞ্চম দফার ভোট শুরু হতেই দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর সামনে এসেছে। কোথাও শাসকদলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে বিরোধীরা। কোথাও আবার আক্রান্ত হয়েছে শাসকদলই। ধনেখালিতে ছাপ্পাভোটের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হতে হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বারাকপুরে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী। সেই অশান্তি মিটতে না মিটতেই বারাকপুরে আক্রান্ত হন সিপিএম নেতা।