প্রশাসনের শত সচেতনতা প্রচারের পরেও ভোট দিলেন না হাওড়া জেলার ঝাড়গ্রাম অঞ্চলের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কোনও মানুষ। ৭৩৫ জন ভোটারদের মধ্যে কেউই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন না। রাস্তার দাবিতে অনড় গ্রামের বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী, কেউই ভোট দিলেন না।
গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে পোলিং অফিসাররা ছাড়া আর কেউ নেই। নেই কোনও রাজনৈতিক দলের একজনও এজেন্ট।
গ্রামের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকশো মহিলাদের কেন ভোট দিলেন না জিজ্ঞেস করায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাঁরা। কারণ হিসেবে জানিয়ে দিলেন, “জন্তুর মতো আমরা গ্রামে পড়ে রয়েছি। কেন ভোট দেব? গ্রামের কেউ আমরা ভোট দিইনি”।
সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ ভোট কর্মীরা ইভিএম সিল করে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ফিরে এসেছেন।
উল্লেখ্য, পাকা রাস্তার দাবিতে গ্রামের বাসিন্দারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। গত দু’দিন ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আধিকারিকরা কয়েক দফায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। শনিবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজার তালা ভাঙা হয়েছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাদা কাগজে লিখিতভাবে রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, সেই কাগজে সরকারি কোনও সিলমোহর ছিল না। তাই গ্রামবাসীরা প্রশাসনের উপর আস্থা না রেখে তারা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে কেউই ভোট দেননি।