রবিবার সকালে ভয়ংকর দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় মুর্শিদাবাদের লালবাগে।
চলন্ত বাসে প্রতিদিনই ব্যবসা সূত্রে যাতায়াত করেন বছর ২৪ এর ভানু মণ্ডল। প্রতিদিনই জিয়াগঞ্জ থেকে লালবাগে আসতেন তিনি।
এদিনও ওই তরুণী লালবাগ হাসপাতালে ফল বিক্রয়ের জন্যে জিয়াগঞ্জ থেকে বহরমপুরগামী একটি বেসরকারি বাসে উঠেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। গা গুলোতে থাকে। এ অবস্থায় জানালার বাইরে মাথা বের করে বমি করার সময় ইলেকট্রিক পোলে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা লাগে ভানুর মাথা।
মর্মান্তিকভাবে এদিনই ছিল তাঁর জীবনের শেষ দিন। ঘটনাস্থলেই শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। মারা যান ভানু মণ্ডল।
রক্তে ভেসে যেতে থাকে চারদিক। যাত্রীরা ধরে বাস চালককে বেদম পিটিয়েছেন। কিন্তু চালক পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগেই জনগণের হাত ফসকে পালিয়ে যায়। লালবাগ থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত ভানুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে লালবাগ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয় জনগণের দাবি, বাস চালকদের চরম গাফিলতির জন্যেই হামেশা কিছু না কিছু দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে এলাকায়। রাস্তা এমনিতেই চওড়া নয়। এদিকে প্রচণ্ড গতিতে এলোপাথাড়ি বাস চালান চালকরা।
এবার ভানুদিদির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষেপে উঠেছে জনগণ।
প্রসঙ্গত, বাসের এমন ঘটনা এই প্রথমবার নয়। বিগত ২৫ জুলাই টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালি মন্দির এলাকাতেও ঘটে যায় এমনই দুর্ঘটনা।
৪৫ বছর বয়স্ক উৎপল কর্মকার হরিদেবপুর থেকে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর দিকে আসছিলেন। বাসের বাঁ দিকের জানলার পাশে বসেছিলেন তিনি। অভ্যাসবশত বিপদজনক জেনেও জানলার বাইরে হাত রেখে বসেছিলেন। আর তার জেরেই একটি নির্মীয়মান পিলারে ধাক্কা লেগে কনুই থেকে হাত ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে অস্ত্রোপ্রচার করা হয় ওই ব্যক্তির।
বাসযাত্রীরা অবশ্যই সাবধানে থাকুন! মানুষের মৃত্যু কখন, কোথায় হয়, তা জানা নেই। কিন্তু এভাবে অসাবধান, হেঁয়ালি করে রাস্তাঘাটে, বাস, ট্রেনে চলাফেরা করা খুবই বিপজ্জনক!