লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে ঘরোয়া রাজনীতিতে হাজারো বাকবিতণ্ডা থাকলেও বিশ্বের দরবারে তা নিয়ে কৌতূহলের সীমা নেই।
প্রায় ৭২ বছর আগে দেশ থেকে বিদায় নেওয়া ব্রিটিশরাও আগ্রহ দেখাচ্ছে ভারতের নির্বাচন নিয়ে।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দুনিয়ার এই বৃহত্তম গণতন্ত্রের উৎসবের মেজাজ বুঝতে রাজ্যে আসেন ব্রিটিশ কূটনৈতিক।
দিল্লির ব্রিটিশ হাই কমিশনের এক পদস্থ কর্তা কাইরান ড্রাক কলকাতায় এসে দেখা করেন বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
তৃণমূলের উত্তর কলকাতার প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির দমদমের প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনের এই রাজনৈতিক বিষয়ক। তিনি সিপিএমের রাজ্য দফতরেও যান।
শাসক ও বিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে কে কী ভাবছে, কোন কোন বিষয়কে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছে, এইসব প্রশ্ন নিয়েই রাজ্যের প্রধান দুই প্রতিপক্ষের প্রতিনিধির মুখোমুখি হন দিল্লি থেকে আসা ব্রিটিশ কূটনৈতিক। গিয়েছিলেন বাম নেতৃত্বের কাছেও।
এদিন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের পাতিপুকুরে বিজেপি প্রার্থীর অস্থায়ী বাসভবনে গিয়েছিলেন ড্রাক। শমীকবাবু এ ক্ষেত্রে জানান, প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। নোট বাতিল থেকে জিএসটি, এমনকী জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়েও আলোচনা হয়। ভোটারদের সঙ্গে সংযোগের নানা বিষয়ে খুঁটিনাটি প্রশ্ন করেন ড্রাক। ভোটার সংখ্যা, দমদমের জনবিন্যাস ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠলেও নির্বাচনী সন্ত্রাস বা ভোটে কারচুপি নিয়ে চলতি বিতর্ক এড়িয়ে গিয়েছেন ড্রাক।
হাই কমিশন সূত্রের দাবি, বিশ্বের এই বৃহত্তম নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ব্রিটিশরা যথেষ্ট আগ্রহী।
ড্রাক মুখ্যত এদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে নিযুক্ত।
তিনি দেশের প্রায় সব রাজ্যেই ঘুরছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে দু’দিনের সফরে বাংলায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়াও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মৃদুল দে’র সঙ্গেও দেখা করেন ড্রাক।