পয়লা বৈশাখ ! বাঙালি সেরা উৎসব। তা কিন্তু এখন জাতীয় সীমায় আর আবদ্ধ হয়ে নেই ।
রোমে দোহার ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে উদযাপিত হল ‘বাংলা বর্ষবরণ উৎসব’ । শিশুদের জন্যে করা হয়েছিল বিভিন্ন রকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ।
বাঙালির উৎসব ! পাতে দেশীয় খাবার, মিষ্টি থাকবে না, তা কি হয় ? পড়ন্ত বিকেলে সকলের পাতে ছিল দেশের খাবার ।
বৈশাখ মানেই মিলন, ধুতি–পাঞ্জাবি, পান্তা– ইলিশের বহর ! বৈশাখ মানেই রবীন্দ্রনাথ !
ইতালির রোমে বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করেছে রোমে অবস্থিত দোহার ঐক্য পরিষদ। রোমের ভিল্লা পামপিনি পার্কে আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসবে আবাল বৃদ্ধবনিতা প্রাণ খুলে মিলনমেলায় যোগদান করেন ।
প্রবাসি বাঙালিদের এদিনটা ছিল প্রাণে জল আনার দিন। সমস্ত ব্যস্ততাকে দূরে ফেলে একদিনের জন্যে মেতে ওঠেন রোমের বাঙালিরা। নারী, পুরুষ, শিশু বিভিন্ন সাজে উপস্থিত হন অনুষ্ঠানে।
পহেলা বৈশাখকে নিজের মতো করে বরণ করে নেয় মানুষ। বাংলাদেশের বিখ্যাত বৈশাখী মেলা রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হয় ! সেখানে প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে বাংলার মানুষ হাজির হন নতুন আশায়। গান– বাজনা, মঙ্গল শোভাযাত্রার আনন্দে আম বাঙালি মজে থাকেন।
প্রবাসি বাঙালিদের মনের কোণে জমে থাকা রমনার আমেজই প্রাণ পেল রোম বৈশাখী মেলায় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা সোহেল মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা মোস্তাক ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি রুহুল বেপারী, সহ সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ, সালাউদ্দিন মোড়ল সহ আরো অনেকে।