মমতার টিএমসি গুণ্ডাদের হাতে অত্যাচারিত হচ্ছে বিজেপি, এর বিহিত করবে মানুষঃ ক্ষুব্ধ বাবুল সুপ্রিয়

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তীব্র বিরোধিতা, কটাক্ষে জর্জরিত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

যে দেশের মানুষের শান্তি কামনা করে তৃণমূল সুপ্রিমো পুজো দিয়েছেন, সে দেশেই তাঁর দলের গুণ্ডাদের হাতে মার খেয়ে মারা যাচ্ছে এক-একজন নিরীহ মানুষ।

বাবুল সুপ্রিয় বৃহস্পতিবার ট্যুইটে লেখেন, দিদি পূজা দিয়ে উঠে যা লিখেছেন, তার ক্যাপশন দেওয়ার মতো আমার কিছু নেই।

এরপরই তিনি চরম আঘাতটি করেছেন। লিখছেনঃ

“কাল যাবো এই প্রবীণ বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে-বলবো যে ওঁর মতো আরও যে শত শত বিজেপি কর্মী দিনের পর দিন অত্যাচারিত ও খুন হয়েছে/হচ্ছে দিদির #TMchhi গুন্ডাদের হাতে, তার বিহীত দিদির পুলিশ না করলেও, মানুষ করবে”।

রবিবার আসানসোলে প্রবীণ এক বিজেপি কর্মীর ওপর নানচাকু, লাথি, চড়, ঘুসি মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলেছিল তৃণমূলের গুণ্ডা কর্মীরা।

সেদিনই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অরিজিৎ রায়।

তিনি অভিযোগ তুলেছেন ব্লক তৃণমূল সম্পাদক ভোলা সিংয়ের বিরুদ্ধে।

এদিকে নৃশংস ঘটনাকে উড়িয়ে দিয়ে ভোলার পাল্টা অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনইভাবেই জড়িত নয়।

ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য যে, বুধবার বিকেলে পুরীর শ্রীজগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‌আমার দেশ ভাল থাকুক। মানুষে মানুষে বিভেদ, ভেদাভেদ নয়। সবাই শান্তিতে থাকুন। আমরা খুন চাই না। আমরা শান্তি চাই।’‌ দিল্লির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আহত, আলোড়িত। তাঁর কথায়, ‘‌আমার হৃদয় আজ খুব কাঁদছিল। চারদিকে যা হচ্ছে আমি এসেছি শান্তির জন্য, আমার সব ভাইবোনেরা যেন ভাল থাকে। আমি তাঁদের হয়ে প্রার্থনা করার জন্য এসেছি। আমার দেশের জন্য শান্তি কামনা করে বাংলা, ওডিশা–সহ সকল পরিবারের জন্য আমি এখানে পুজো দিতে এসেছিলাম। জগন্নাথদেবের কাছে এই প্রার্থনাই করলাম।’‌

এমন বার্তায় রীতিমতো উত্তেজিত কেন্দ্রিয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় পাল্টা জবাবটি দিলেন প্রমাণসহ। তাঁর বার্তায় স্পষ্ট, নিহত-আহত মানুষগুলোর বিহিত মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ না করলেও জনগণ সঠিক সময়ে এর সঠিক প্রত্যুত্তর দিয়ে ছাড়বে।