কলকাতাঃ পৌষ মাসের শুক্লা তিথিতে মকর সংক্ৰান্তি (Makar Sankranti) । ধর্মীয় বিশ্বাস, এই তিথিতে সূর্যদেবের পূজো করলে শুভ বলে মনে করা হয়। মকর সংক্ৰান্তি থেকেই ঋতু পরিবর্তন শুরু হয়। মকর সংক্ৰান্তি শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরু।
মকর সংক্ৰান্তির ১৫ জানুয়ারি রাত ২টো ৫৩ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে। পূণ্যস্নানের সময় ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যে ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে ১৫ জানুয়ারি ৬টা ৫৩ পর্যন্ত। পূণ্যস্নান শুরু হয়ে গিয়েছে। পূণ্যকাল ১৫ জানুয়ারি অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৭ থেকে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট। মহাপূণ্যকাল সকাল ৭টা ১৫ থেকে ৯টা ৬ পর্যন্ত।
এদিন পূণ্যতিথিতে (Gangasagar Mela) স্নান করে দানের গুরুত্ব রয়েছে। মকর সংক্ৰান্তির দিন গঙ্গায় স্নান (Gangasagar Mela) করা সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে গঙ্গা স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাশাস্ত্ৰে বলা হয়েছে- মকর সংক্ৰান্তির দিন দান করলে তার শতগুণ ফল পাওয়া যায়। এই পবিত্ৰ সময়ে দান, স্নান বা শ্ৰাদ্ধ করা শুভ।
মকর সংক্ৰান্তির দিন ঘি, তিল, কম্বল, খিচুড়ি দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস, মকর সংক্ৰান্তির দিন তিল, গুড় ও খিচুড়ি দান করলে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। হাজার হাজার হিন্দু তীর্থযাত্ৰী (Pilgrim) এই দিন মকর সংক্ৰান্তিতে পূণ্য স্নান করতে গঙ্গাসাগর মেলায় এসে ভিড় জমান।
গত দু বছর করোনার (Covid) কারণে মেলায় (Gangasagar Mela) ভিড় হয়নি। তাই এবছর মেলায় (Gangasagar Mela) প্ৰচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela) পুণ্যস্নান করতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনেই ৭০ উর্দ্ধ। একজন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। হৃদযন্ত্ৰ বিকল হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর থেকে সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে সরকারের তরফ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্ৰশাসনের তথ্য অনুসারে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪৮ জন তীর্থযাত্ৰী সাগরদ্বীপের বিভিন্ন Hospital এ অসুস্থতার কারণে ভর্তি হয়েছেন। ১২ জনকে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মোক্ষলাভের আশায় দেশের বিভিন্ন প্ৰান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela) পূণ্যস্নান করতে ছুটে আসেন। ভক্তদের ভিড় সামলাতে সমুদ্ৰ সৈকত ত্ৰিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।