‘কহিবে আনন্দ–ভরে, নূতন বৎসর–সবাই আপন মোর, কেহ নাহি পর’।
বৈশাখ আবেগ, বৈশাখ মিলনমেলা। বৈশাখী মিলনমেলা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের হরিপুরে প্রতিবছরের মতো ১৪২৬ নববর্ষ উদযাপিত হল আবেগে, ভালবাসায়।
১৫ এপ্রিল, বাংলাদেশের হরিপুর উপজেলার ঠাকুরগাঁয়ের সীমান্তে অনুষ্ঠিত হল ১৪২৬ বৈশাখী মিলনমেলা। অংশ নিলেন এপার বাংলা, ওপার বাংলার কাতারে কাতারে মানুষ।
কালের অভিশাপে বিচ্ছেদ হওয়া দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ তাঁদের হৃদয়কে যুক্ত করতে প্রতি বছর হরিপুর উপজেলার ৩৬২, ৩৬৬, ৩৬৭, ৩৬৮, ৩৬৯, ৩৭০, ৩৭১ নম্বর পিলার এলাকায় জমায়েত হয়ে থাকেন। সীমান্তের এপার ওপারে দাঁড়িয়েই প্রিয়জনের আগমন পথের দিকে চেয়ে থাকেন।
১৪২৬ বছরও এপার বাংলা, ওপার বাংলার মানুষ হরিপুরের কারীগাঁও মলানী, ডাববি, বেতনা, বুজরুক এবং হরিপুর সেই সঙ্গে ভারতের শ্রীপুর, নারগাঁও, ফুলবাড়ি, কাতারগঞ্জ এবং বোররা সীমান্ত এলাকায় দু বাংলার মানুষ মিলন আশায় সকাল ১১ টা থেকেই প্রবল উৎসাহে জমায়েত হতে থাকে।
কাঁটাতারের গেট খুলে না, কিন্তু বিএসএফ-এর উপস্থিতিতে কাঁটাতারের দুপাশে দাঁড়িয়ে হৃদয়ের গেট খুলেই আত্বীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বার্তা হয়, এপার-ওপার বাংলার মানুষের মধ্যে বিনিময় হয় খাদ্যসামগ্রীর।
বাংলাদেশ–ভারতের আন্তঃসীমান্ত নদী, নাগরের পাড়ে এসে সাক্ষাৎ করেন জেলা সদরের থেকে আসা দানেশ, সঙ্গিতা রানী, নীলফামারী জেলার বিমল, গোবিন্দগঞ্জের তমা বসাকরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ দিনটির জন্যে তাঁরা বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন। ভারতে থাকা আত্বীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যেই তাঁরা নাগর নদীর তীরে উপস্থিত হয়ে থাকেন।