বাংলা এবার দিল্লির সরকার গড়বে। পঞ্চম দফার ভোট শেষ হওয়ার পরের দিন অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি করেন।
এদিন, মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে রানিবাঁধের হলুদকানালি ও পুরুলিয়ার সাঁতুড়িতে এবং বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে বড়জোড়ায় সভা করেন।
প্রতিটি সভাতেই রাজ্য সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, এটা দেশের সরকার গঠনের নির্বাচন। কৈফিয়ত দেওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু তিনি নিজের কাজের হিসেব না দিয়ে বাংলার কৈফিয়ত চাইছেন। এখানে এসে হিন্দু নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, অথচ পাঁচ বছরে রামের একটা ছোট্ট মূর্তিও গড়েননি।
এদিন তিনটি সভাতেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি নরেন্দ্র মোদিকে একালের কুম্ভকর্ণ বলে কটাক্ষ করে বলেন, পাঁচ বছরের মধ্যে সাড়ে চার বছর উনি বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এখন কাপড়, টিভির দোকান খুলে বসছেন। নিজেকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করাচ্ছেন। সব দোকান খোলা হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে জুতোর দোকান খোলা। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, নরসীমা রাও সহ দেশে বহু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু কাউকে এভাবে দোকান খুলতে হয়নি। এখন সপ্তাহে সেজেগুজে বসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। আহা রে, কত বড় মন! মনের মধ্যে শুধু দাঙ্গা কিলবিল করছে।
মোদি সরকারের গতবারের নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রী জনতার কাছে জানতে চান, বিদেশ থেকে কালো ধন ফিরিয়ে এনে আপনাদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দিয়েছে? নোট বাতিল করে সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে পেরেছে? আচ্ছে দিনের কথা বলে পেট্রল, ডিজেল গ্যাসের দাম কমাতে পেরেছে?
মমতার কথায়, বিজেপি এবার সব রাজ্যে গোল্লা পাবে। দিল্লিতে সরকার গড়বে বাংলা। তৃণমূলনেত্রী বলেন, গতবার ভোটের আগে চায়ওয়ালা সেজে চা বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এবার চায়ওয়ালা সাজলে হবে না বুঝেই চৌকিদার সেজেছেন।
সভায়, এদিন বিরোধীরা চৌকিদার চোর হ্যায় স্লোগানে সুর চড়ান।
এখানেই শেষ নয়, মমতার মন্তব্য, ‘মোদি সারা দেশকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে। কিন্তু আমি মোদিকে ভয় পাই না। আপনারাই আমাকে এই সাহস জুগিয়েছেন’।