একের পর এক ভয়ংকর অভিযোগ উঠছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলে বলেছিলেন, দিদিমণি ভয়ংকর সাম্প্রদায়িকতা শুরু করেছেন রাজ্যে! দেখে দেখে মানুষ আনছেন রাজ্যে।
এ অবস্থায় উত্তরাখণ্ড সরকার অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমোর দিকে। কারণ লকডাউনের এই সময় ভিন রাজ্যগুলোতে আটকে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বহু পর্যটক শ্রমিক।
হরিদ্বারে ফেঁসে আছেন রাজ্যের প্রায় ৭০০ শ্রমিক। তাঁদের প্রান ওষ্ঠাগত সেখানে। উত্তরাখণ্ড থেকে গৃহরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা কাতর আবেদন জানিয়েছেন তাঁদের যেন ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁরা এমনও জানাচ্ছেন যে, “আমাদের উত্তরাখণ্ডে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু আমরা আমাদের রাজ্যে, ঘরে ফিরতে চাই।” তাঁদের ফেরানোর জন্যে উত্তরাখণ্ড সরকারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মমতা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অবধি কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, করোনা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্রের সংঘর্ষ তুঙ্গে উঠেছে। মমতার বরাবরের অভিযোগ, কেন্দ্র রাজ্য সরকারের কথা কানে নিচ্ছে না। এছাড়া রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের গোলাম নয়! অথচ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চমবারের জন্যে ভিডিও কনফারেন্সে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছেন, যারা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেননি, তাঁরা যেন ১৫মে’র মধ্যে সমস্ত মতামত জানিয়ে দেন কেন্দ্রকে। সমগ্র দেশজুড়ে সৃষ্ট কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলোর সহযোগিতা প্রার্থনা করছে। এবং তাই পাচ্ছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনভাবেই কেন্দ্রকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক নন। এর আগে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল কলকাতা গিয়ে হতচকিত হয়েছেন, কেন মমতার সরকার তাঁদের সাহায্য করতে চাইছে না, এ নিয়ে আশ্চর্যান্বিত কমিটি। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল ধনকড় কাতর প্রার্থনাও জানিয়েছেন দিদিমণির কাছে, তিনি যেন সংকটের এ সময় রাজনীতি ছেড়ে রাজ্যবাসীকে করোনা থেকে বাঁচানোর দিকে মন দেন।
এবার লক্ষ্যণীয়, হরিদ্বারে আটকে থাকা পর্যটকদের জন্যে কতটুকু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।