আলিপুরদুয়ার লোকসভা সমষ্টির বিজেপি প্রার্থী জন বার্লার সমর্থনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ২৯ মার্চ বিশাল জনসভায় যোগ দেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন যে, বাংলাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন মমতা। তৃণমূলকে মূল সহ উপড়ে ফেলার কাজটা এবার করে দেখাবে পশ্চিমবাংলার জনতা। তিনি জানান, হাওড়া ও আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হার এবার কেউ রুখতে পারবেন না। বাংলায় বিজেপি এবার ২৩ টি আসনে জয়লাভ করবে। তিনি বলেন, বাংলাকে অরাজকতার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন একমাত্র নরেন্দ্র মোদি।
মমতা ব্যানার্জির স্লোগান ‘মা-মাটি-মানুষ’ এর কোনটাই আর বেঁচে নেই এখন। রাজ্যে বিদ্বেষ ভাব বাড়িয়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁর খেলা শেষ। ‘টোলবাজি- টেক্স’ এ সর্বস্বান্ত পশ্চিমবংগ। সিণ্ডিকেট সন্ত্রাসের কথাও সকলেই জানেন। পুলওয়ামা বিস্ফোরণে ১২ দিনের মাথায় এয়ার স্ট্রাইক করে পাকিস্তান জঙ্গী শিবির গুড়িয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভারতবাসী হয়ে মমতার যেখানে আনন্দিত হওয়ার কথা, সেখানে তিনি নাক কুঁচকোচ্ছেন? বিজ্ঞান মিশাইলের দরকার নেই, বাংলার জনতা মিশাইলই এবার তৃণমূলকে উড়িয়ে দেবে বলে জানান আমিত শাহ। ‘ইমাম’কে সমর্থন করেছেন করুন কিন্তু ‘পুরোহিতরাই’ বা কি দোষ করলো? আতংকবাদিকে রেহাই দেবে না বিজেপি সরকার।
বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বাংলার প্রশংসা করে বলেন, যে বাংলায় মহাপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ ধর্ম-সংস্কৃতি-সরস্বতি পূজার প্রচার করেছিলেন, সেই বাংলায় মমতার নেতৃত্বে সরস্বতি পূজা করার জন্যে অনুমতি নিতে হয়? আরো বলেন, যে বাংলার হাওয়ায় চৈতন্য মহাপ্রভুর কীর্তন, রবীন্দ্র সংগীতের সুর ভেসে আসত, সেই বাংলায় আজ বোমার আওয়াজ শোনা যায়।
তিনি বলেন, বাংলায় ভবিষ্যতে গণতন্ত্র থাকবে কিনা, তা ঠিক করবে এবারের নির্বাচন। খুঁজে খুঁজে অনুপ্রবেশকারীকে তাড়ানোর জন্যে রাজ্যে ‘এনআরসি’ আনবেন একথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন তিনি।