ভোটকেন্দ্রে, নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সহিংসতা চালিয়েছে এই অভিযোগে ফের ভোট গ্রহণের দাবি জানায় বিজেপি । পাশাপাশি সি পি আইইয়েরও একই দাবি। সাথে আছে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস দল ।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসও অভিযোগ করেছে ভোট জালিয়াতির।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল শুরু হয় লোকসভা নির্বাচন। সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শেষ দফায় মোদি ছাড়াও অন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা, রবিশঙ্কর প্রসাদ, এইচ কে বাদল এবং হরদীপ সিং পুরি।
বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ডায়মন্ড হার্বার, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, জাদাভপুর, বশিরহাট, মাথুরপুর এবং জয়নগরে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কংগ্রেসে গুন্ডারা কোথাও সুষ্ঠু ভোট হতে দেয়নি। তাই আমরা কয়েকটি বুথে পুনঃভোটগ্রহণে দাবি জানাই।
ভোটগ্রহণের শেষ ধাপেও পশ্চিমবঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় গুলি ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ব্যবস্থা নেয়।
সপ্তম দফার ভোট পর্বের আগে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পদক্ষেপ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু শেষে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে ছাপ্পা ভোটের কারবার চলেছে ।
ঘটনা, যাদবপুরের অন্তর্গত ১০৯ নং ওয়ার্ড এলাকার শহিদ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের ১৩৫, ১৩৬ এবং ১৩৭ নং ঘরের। সেই বুথ কেন্দ্রে অবাধে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছেন একদল মহিলা।
খবর পেয়ে বুথ পরিদর্শন করতে যান যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। সেখানে পৌঁছানোমাত্রই মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। মুখ ঢাকা মহিলারাই তাঁকে বুথ থেকে বের করে দিতে চান বলে অভিযোগ।
তাঁর গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয় ।