কলকাতাঃ ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন পাঠালো ইডি। কয়লা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্ৰীয় তদন্তকারী সংস্থা EDর তরফে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদককে (All India Trinamool General Secretary) চিঠি পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে।
এবার আর দিল্লিতে নয়, কলকাতা সিজিও কমপ্লেক্সে আগামী শুক্ৰবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে Abhishek Banerjeeকে।
উল্লেখ্য যে, সোমবারই তৃণমূল ছাত্ৰ পরিষদের প্ৰতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এই আশঙ্কা প্ৰকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হলো।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, “আজ অভিষেক এত ভালো বক্তৃতা দিয়েছে। কালই না ওকে তলব করা হয়।” সেই আশঙ্কারই বাস্তবায়ন ঘটল মঙ্গলবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই অভিষেককে চিঠি ধরাল ED।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেত্ৰী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “অভিষেক এত ভালো বক্তৃতা দিয়েছে। কাল ওকে না নোটিশ দেয়। ওকে তো আগেই নোটিশ ধরিয়েছে। ওর বউকেও ধরিয়েছে। এবার ওর বাচ্চাটাকেও না নোটিশ ধরায়।” এরপরই অভিষেকের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এবার ডাকলে বাচ্চাকেও নিয়ে যাস। বাচ্চাকে চিনে রাখুক ওরা। দেখুক ও কত স্ট্রং।”
মমতার বক্তব্য- পরিকল্পনাটা হচ্ছে নির্বাচনের আগে ববি, অভিষেক সকলকে গ্ৰেফতার করে রেখে দেওয়া। এরপর ববির অনেক সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করবে। ওকে গ্ৰেফতার করবে। সবই সাজানো ঘটনা। খোদ তৃণমূল নেত্ৰীকেও গ্ৰেফতার করা হোক। আটকে রেখে দেখুক কী হয়।
তিনি আরও বলেন- নির্বাচনের আগে তো তাঁকে মেরেছিল। ভেবেছিল বেরোতে পারবেন না। তাঁর কথায় তাঁকে (মমতাকে) জেলে রেখে দিলেও তিনি ঠিক বেরিয়ে আসবেন।
এদিন Abhishek Banerjeeও মেয়ো রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বলেছেন- এতো বড় সমাবেশ, সর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন লিখে রাখুন, আবার কিছু করবে। এপ্ৰসঙ্গে তিনি ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পরদিনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্ৰেফতারের কথা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে অভিষেক বলেন- সবাই বলছে তৃণমূল মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছে। প্ৰশ্ন তুলে বলেন কন্যাশ্ৰী, যুবশ্ৰী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়ে বেইমানি? এক নারীর পা ভেঙে দিয়েছেন, তাও তিনি দেগঙ্গা থেকে দার্জিলিং অবধি লড়াই করেছেন, এজন্য এদের (BJP) গায়ে জ্বালা।