কলকাতা: আধার কার্ড নিয়ে এখন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আসামে তো আধার জটে ‘বঞ্চিত’ লক্ষ লক্ষ মানুষ। পাচ্ছেন না বিনামূল্যের রেশনও। কারণ আধার ছাড়া আজকাল কোনো কাজ হয় না। সব সরকারি কাজে আধার কার্ড অনিবার্য। এক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষ আধার কার্ড পাননি। মানে তাদের আধার আসেনি।
বিধানসসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, এনআরসির জন্য বায়োমেট্রিক লক রয়েছে অনেকের। ফলে আধার-বঞ্চিত প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ। এই সমস্যার এখনই সমাধান সম্ভব নয়।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও আধার নিয়ে হুলুস্থুল শুরু হয়েছে।
আধার কার্ড ‘ডিঅ্যাক্টিভেট’ করা হয়েছে। এই তথ্য উল্লেখ করে গত কয়েকদিন ধরে ডাকযোগে চিঠি পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বহু পরিবার। এই চিঠি পেয়ে জনগণের ঘুম উড়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আধার কার্ডের ২৮(এ) রেগুলেশনে সংশ্লিষ্ট কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে। অর্থাৎ বিদেশি বলে সন্দেহ অথবা বাসস্থান সংক্রান্ত নথি উপযুক্ত না থাকলে এই ধারায় আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়।
তবে বিষয়টি রাজনৈতিক মনে হচ্ছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি ঘোরালো রাজনীতি। তিনি সঠিক বিষয়ে কখনোই সরব হন না। হন সেসব বিষয়ে যে বিষয়গুলো ভোট ব্যাঙ্কের সাথে জড়িত।