তৃতীয় শ্রেণীর খুদে পড়ুয়া টিফিনের সময় খেলাধুলা করে ক্লাসে এসে খানিকটা জিরিয়ে নিচ্ছিল। দিদিমণি ঢুকলেও সে বেচারা টের পায়নি। ফলে শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়াতেও পারেনি।
“দিদিমণিকে সম্মান প্রদর্শন না করে ছাত্র বেঞ্চে মাথা ফেলে রেখেছে”! ইগোতে লাগে শিক্ষিকার। তাই আচ্ছা শিক্ষা দিতে বেদম মারেন দিদিমণি। এমন মার, ছাত্রের লিভার ফেটে বৃহস্পতিবার চিরদিনের মতই ঘুমের দেশে চলে গেল ছোট্ট ছেলেটি। স্কুল থেকেই তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
যমের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে পয়লা আগস্ট হার মানে বাচ্চা ছেলে রূপম পাল। যদিও বিদ্যালয় পক্ষ থেকে এই অভিযোগ বাতিল করার চেষ্টা চলছে।
রূপমের মতোই আরো অনেক রূপম মায়ের কোল খালি করে চলে যাচ্ছে দিনে দিনে। শিক্ষকের প্রবল অত্যাচারের শিকার হয়ে কোন বাচ্চা আত্মহত্যা করছে, আবার কেউ মারের চোটেই প্রাণ হারাচ্ছে।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রই হোক কিংবা বড় ক্লাসের ছাত্র, শিক্ষক-ছাত্রের মধ্যের সম্পর্ক যদি ‘ইগো’ হয়, দু-পক্ষের মধ্যে পড়াশুনার সম্পর্ক ছাড়াও যদি মানসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে, তবে এভাবেই এক এক করে পৃথিবী থেকে রূপম’রা হারিয়ে যাবে।
পরিবর্তনের যুগে শুধু একপক্ষের পরিবর্তন নয়, পরিবর্তন চাই দু-পক্ষের।
সংবাদ লেখা অবধি, মৃতের পরিবার পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।