২৫ শে বৈশাখ, ১৪২৬, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপাসনা শেষে উদয়ন গৃহের সামনে প্যানেলের অন্যতম আকর্ষণ হবে বিশ্বকবির নাইটহুড স্মারকের ছবি।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করার সেই প্রতিবাদী মুহূর্ত ফিরে দেখানোর। আপামর জনগণ আগামিকাল প্রত্যক্ষ করবেন সেই ঐতিহাসিক কালকে !
১৩ এপ্রিল, ১৯১৯ সাল। অভিশপ্ত দিন ! জালিয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যা। সেদিন ছিল পাঞ্জাবের বৈশাখী উৎসব।
ভারতের উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা। অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর শহরে ইংরেজ সেনানায়ক রেগিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।
বিশ্বকবি ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রভবনের উদ্যোগে কবিগুরুর জন্মদিনে শতবর্ষে নাইটহুড প্রাপ্তি ও প্রত্যাখ্যান’ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া থাকছে নাইটহুড নিয়ে বহু অজানা চিঠি এবং ছবি।
জানা গেছে যে, প্রথম প্যানেলে থাকবে কবিকে নাইটহুড দেওয়া নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগ, একই সঙ্গে সে বিষয়ক তথ্য এবং ছবি ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইটহুড উপাধি লাভ করেছিলেন ৩ জুন ১৯১৫ সালে। পঞ্চম জর্জের জন্মদিনে। সেই মানপত্র এবং মেডেলও রাখা হয়েছে ভিন্ন এক প্যানেলে।