মানবজাতিকে ধ্বংস করে তোলা সার্স করোনা ভাইরাসের সংহারে কাঁপছে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসমে বর্তমানে করোনার আতংক বিরাজ করছে। কিন্তু গুয়াহাটি, তিনসুকিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে মানুষের উন্মত্ততা বারংবার সচেতন নাগরিককে আশংকায় ফেলে দিচ্ছে।
গত ২৪ এপ্রিল রাত ১২ টা থেকে আগামি ১৪ এপ্রিল, ২১ দিনের পূর্ণ লক ডাউন চলছে ভারতে। লক ডাউনের তৃতীয় দিন মহানগর গুয়াহাটিতে উপচে পড়া জনতার ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী কোন নায়কের আদেশ, নিবেদন কানে নিচ্ছেন না অসমের জনগণ!
সরকার নির্দিষ্ট সময়য় পর্যন্ত চাল-ডালের দোকান এবং শাক সবজি বিক্রির দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এবং রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে তাঁদের আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
কিন্তু শহরের একাংশ অসচেতন নাগরিক হুড়মুড়িয়ে বাজার করার জন্যে বেরিয়ে পড়েছেন!
কোথায় জনসমাগম থেকে দূরে থাকা, কোথায় এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখা?
মহানগরে গণেশগুড়ি, ফাঁসি বাজার, পল্টন বাজার, শিলপুখুরি, হাতিগাওঁ, বেলতলা প্রভৃতি অঞ্চলে বাজারে অজস্র গ্রাহকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে কোনরকম সতর্কতা অবলম্বন করা ছাড়া।
শুধু যে গ্রাহকের অসচেতনতা তা নয়, দোকানের মালিকেরও কোনরকম সতর্কতা দেখা যায়নি।
আশ্চর্য এবং একইসঙ্গে ভয়ংকর এই পরিস্থিতিতে ছিল না নিয়ন্ত্রেণের জন্যে কোন পুলিশ প্রশাসন!
এই পরিস্থিতি শুধু আজকের নয়, তিনসুকিয়ার সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে যে, “শ্রীপুরিয়া টিংরাইহাবি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাটিতে সকাল-বিকেলে জনসমাগম ঘটছে।সরকার, প্রশাসনের কোন বিধি বিষেধ মানছেন না মানুষ! বিশ্বের সংকটময় পরিস্থিতিকে তাঁরা কোনভাবেই তোয়াক্কা করছেন না। উক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনসুকিয়া শহরবাসীর কোন ভাইরাসের আশংকা নেই, তাঁরা বাড়িতে খাদ্য মজুদ করার অস্থির হয়ে উঠেছেন।”
এমন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার পরই কামরূপ (মহানগর) জেলা প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে শাক-সবজির সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন।
এই ঘটনায় অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জনসাধারণকে ঘরে থাকার কাতর আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী বিশ্ব শর্মা।
তিনি লিখেছেন, শ্রদ্ধার জনসাধারণের প্রতি আমার কাতর অনুরোধ-অনুগ্রহ করে ঘরের বাইরে যাবেন না। আমরা এক জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বান তথা পরামর্শ মেনে চলতেই হবে।অনুগ্রহ করে ঘরে থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।”