মানুষ! মান আর হুঁশ আছে যার, সেই মানুষ! কিন্তু এ কোন মানুষ?
ভারতের কেরলে গর্ভবতী হাতিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা ঘটনায় গর্জে উঠেছে দেশের মানুষ। রতন টাটা প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছেন নৃশংস এই ঘটনার। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি। মর্মান্তিক ঘটনাটি আমূল নাড়িয়ে দিয়েছে হৃদয়।
এবার সাংসদ মিমি চক্রবর্তী কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর-কে খোলা চিঠি দিয়েছেন।
”গোটা দেশের অসংখ্য মানুষের মতো নৃশংসভাবে হাতিটিকে মেরে ফেলার ঘটনায় আমিও মর্মাহত। কেরলের পাল্লাকর জেলায় যেভাবে বিস্ফোরক ভর্তি আনারস খাইয়ে হাতিটিকে মারা হলো তাতে দেশের নাগরিক হিসাবে, পশুপ্রেমী হিসাবে লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। আমি জানি কেরল সরকার দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে। তবে কেরলে এই ঘটনা প্রথম নয়। গতমাসেও একটি হাতির চোয়াল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে। হাতিরা রোজ কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। তাই ঠিক কোথায় এধরনের ঘটনা ঘটছে সেটা চিহ্নিত করা খুবই মুশকিল। সবসময় সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। তবে শুধু হাতি নয়, কেরলের ওই অঞ্চলেও অন্যান্য প্রাণীকেও হত্যা করার হয়েছে। এমনকি কুকুরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, বিড়ালকেও গলায় ফাঁস আটকে মারার মতো ঘটনাও কেরলে ঘটেছে। অনেক সময় চাষীরা ফসল রক্ষা করতে ফলের মধ্যে এভাবে বাজি ঢুকিয়ে রাখে। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে হলে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে।… শুধু সাজা দিলেই এই সমস্যা মেটার নয়। ১৯৬০ সালের পশু সুরক্ষা আইন ও ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন কার্যকর করার পরও বন্যপ্রাণীদের হত্যা আটকানো যায়নি। তাই সচেতনা প্রচারই করা উচিত। মানুষকে বোঝাতে হবে। এমনি আমাদের শিশুদেরও পশুপাখিদের প্রতি ভালোবাসার কথা শেখাতে হবে। প্রয়োজনে পরিবেশ বিদ্যার শিশুদের পাঠ্যবইতে এগুলি পড়াতে হবে।”
I plead this to everyone concerned @CMOKerala @PrakashJavdekar pic.twitter.com/uhZXrpc6JO
— Mimssi (@mimichakraborty) June 4, 2020
খিদের জ্বালায় মানুষের কাছ থেকে একটা আনারস খেয়েছিল সে। পেটে ছিল আসন্ন সন্তান। কেরালার মালাপ্পুরমে বাজিভরা আনারস খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই মা ও তাঁর গর্ভে থাকা সন্তানকে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ১ জনকে।