লোকসভা নির্বাচনে এআইইউডিএফের সঙ্গে কংগ্রেসের গোপন মিত্রতা কংগ্রেসের অন্দরমহলে ঝড় তুলেছে। এই ঝড় এতটাই প্রবল যে তার ঝাপটা পৌঁছেছে নয়াদিল্লী। প্রদেশ কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা রিপুন বরা ও দেবব্রত শইকিয়াকে নয়াদিল্লীতে ডেকে পাঠিয়েছেন এআইসিসির সভাপতি রাহুল গান্ধী। এআইইউডিএফের সঙ্গে কংগ্রেসের গোপন মিত্রতার বিষয় সামনে আসায় বুধবার এআইসিসির প্রার্থী নির্বাচন কমিটির বৈঠক বাতিল করে এই দুই নেতাকে দিল্লি তলব করেছেন রাহুল।
এআইইউডিএফের সংগে কোন ধরণের মিত্রতা হবে না। এআই সি সির সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত সহ একাধিক নেতা বারবার একথা বললেও প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ নেতা গোপনে এআইইউডিএফের সঙ্গে আঁতাত করেন। তাঁর প্রতিফলন দেখা যায় প্রার্থী তালিকায়। রাজ্যের ১৪ টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দেয় এআইইউডিএফ। শুধু তাই নয় এই তিনটি আসনে কংগ্রেস যাতে দূর্বল প্রার্থী দেয় সেই লক্ষে কলকাঠি নাড়তে আরম্ভ করেন এআইইউডিএফ সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল। একাজে জামাত উলামা হিন্দের সভাপতি মেহমুদ মাদানিকে কাজে লাগান তিনি। এসব কথা প্রকাশ পাওয়ার পরই, ঝড় ওঠে কংগ্রেসের অন্দরমহলে।
বিষেশ সূত্রে জানা গেছে যে এই বিষয়ে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা ও দলের পরিষদীয় দল নেতা দেবব্রত শইকিয়ার মধ্যে।
এদিকে কংগ্রেস-এআইইউডিএফের মধ্যে গোপন আঁতাত নিয়ে মুখ ফুটে কিছু বলছেন না কংগ্রেসের অন্যতম পোড়খাওয়া নেতা তরুণ গগৈ। উল্লেখ্য তরুণ গগৈর ছেলে গৌরব গগৈ এবারও নির্বাচনে লড়ছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রভাব থাকা লোকসভা কেন্দ্র কলিয়াবর থেকে। তাছাড়া তরুণবাবুর কাছের লোক বলে পরিচিত কংগ্রেস দল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী প্রদ্যোত বরদলৈ লড়ছেন নগাও থেকে, যেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন ছাড়া লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া কঠিন।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে এই দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি এআইইউডিএফ।