শনিবার, ৯ নভেম্বর দিনটিঃ দেশের সকল বর্গের, সকল সম্প্রদায়, বিভিন্ন পন্থা এবং সর্বোপরি গোটা ভারত যে স্বহৃদয়ে আজ এই ঐতিহাসিক রায়ের সম্মান করেছে, তা ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি, পরম্পরা ও সদ্ভাবনার প্রতিবিম্ব।
অযোধ্যা মামলার অবসান ঘটল। আশা করা হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের আরো এক শক্ত স্তম্ভ তৈরি হলো।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের রায়দানকে শ্রদ্ধা ও স্বাগত জানিয়ে লিখেছেনঃ
“অযোধ্যা বিবাদে সর্বোচ্চ আদালতের রায় দেশের ঐক্যকে মজবুত করতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে। শ্রী রাম জন্মভূমির উপর সর্বসম্মতিক্রমে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে আমি সম্মান এবং স্বাগত জানাই।
আমি সমাজের সকল ধর্ম এবং বর্ণের মানুষের কাছে আবেদন করছি যে, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় কে যেন সবাই সম্মান করেন। এখন এই বিষয়টি নিয়ে আর যেন কেউ বিবাদ না করে। আমরা সবাই “এক ভারত- শ্রেষ্ঠ ভারত” সংকল্পের প্রতি যেন দায়বদ্ধ থাকতে পারি।
দীর্ঘদিন ধরে চলা রাম জন্মভূমির আইনি বিবাদে সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের জন্য ভারতের বিচারব্যবস্থা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ এই রায়ের জন্য সর্বোচ্চ আদালতেকে প্রশংসা জানানোর শব্দ নেই।
এই ঐতিহাসিক রায় ভারতের একতা, অখণ্ডতা ও মহান সংস্কৃতিকে আরো শক্তিশালী করবে। এই রায়ে কেউ পরাজিত হয় নি। সব পক্ষেরই জয় হয়েছে। আদালত স্বাক্ষী ও তথ্যের বিচার করেই রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা সবাই এই রায়ের সন্মান করি এবং সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার জন্য আহবান রাখছি।”
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই গড়ে উঠবে রামমন্দির। যে ২.৭৭ একর জমিতে ১৯৯২-র ৬ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল সাড়ে চারশো বছরের বেশি পুরনো বাবরি মসজিদ।
শনিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে,
অযোধ্যাতেই অন্যত্র কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫ একর জমি দেয়া হবে মুসলিমদের জন্য মসজিদ তৈরি করতে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিচারপতিরা সর্বসম্মত হয়ে এই রায় দিয়েছেন।
দের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।