দেশে বেকারত্ব হার সবথেকে বেশি ত্রিপুরায়। ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ বা সিএমআইই নামের একটি সংস্থা, সদ্য রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় ৷এরপরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে সংস্থাটি৷ সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ত্রিপুরায় বেকারত্ব হার ২৬.১ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বেকারত্ব হার ছিল ৩০ শতাংশ৷
সমীক্ষায় স্পষ্ট, কর্মসংস্থান তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকার৷ আগামিকাল অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল পূর্ব-ত্রিপুরা আসনে ভোটগ্রহণ৷ ভোটের মুখে, এই সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসায় বেশ কিছুটা চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল।
বাম দুর্গের ২৫ বছর রাজত্ব কালের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে পদ্মফুল ফুটিয়েছিল গেরুয়া ব্রিগেড। গেরুয়া ঝড়ে তছনছ হয়ে পড়েছিল বাম দুর্গ৷মানিক সরকারের দুর্গের পতন ঘটিয়ে মসনদে বসেছিলেন বিপ্লব দেব৷ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়ে ক্ষমতায় এলেও কর্মসংস্থান তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যে আমলা ও পুলিশকর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয় রাজ্য সরকার৷ তারপরই শুরু হয় বির্তক। ত্রিপুরা হাই কোর্টের তত্বাবধানে চলা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করায় রাজ্য সরকারকে নোটিশও পাঠিয়েছে আদালত৷ অভিযোগ এও, শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও হস্তক্ষেপ করছে বর্তমান রাজ্য সরকার৷ বাম আমলে প্রায় ৬ হজার শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করার কথা থাকলেও, বর্তমান সরকার মাত্র ১৮০টি পদের জন্য আবেদন চেয়েছে৷
বলাবাহুল্য, ভোটের মুখে, গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ কর্মসংস্থান নিয়ে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ত্রিপুরা সরকার৷ এমন সময় এই সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসায় গেরুয়া ব্রিগেডে জনমত নিয়ে প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার প্রয়াস চালাতে পারে বিরোধী দল।