খাবার নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের শ্রীপুর গ্রামে দুই মানসিক বিকারগ্রস্তের মধ্যে ঘটল মারামারির কাণ্ড।
মার খেয়ে এক পাগল পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে পড়ে রয়েছে বাজার শেডে। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে ত্রিপুরা পুলিশও।
জানা গিয়েছে, শ্রীপুরের বাসিন্দা আনন্দ দেবনাথের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরে বেশ কিছুদিন ধরে এক পাগল বাস করত। হিন্দিভাষী এই যুবকের নাম জীবন গৌড়। সে বাড়ি বাড়ি টুকটাক কাজ করা সহ রান্নার লাকড়ি বিক্রি করে যা টাকা পেত তা দিয়ে বিড়ি-গুটখা, পান-গাঁজা কিনে খেত। গৃহকর্তা আনন্দ বাবুর বাড়িতেও নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করত।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে, তাঁর সঙ্গে পরিচয় ঘটে আরেক পাগলের। তার নাম প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। তাঁরা দুইজন একই ঘরে বসবাস করতে শুরু করে। এতোই ভাব জমে যে, তারা খাবারও কে থালাতে খেতে শুরু করে দেয়।
এবার লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে, কুড়িয়ে পাওয়া খাবারের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় তাদের মধ্যে। এরপর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। খাবারের ভাগ নিয়ে প্রসেনজিৎ বেধর মারধর করে জীবনের উপর।
মালিক আনন্দবাবু গ্রামের জনগণের সাহায্য নিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে প্রসেনজিতের বেদম মারে জীবনের শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে গেছে। পরে পুলিশ, জীবনকে চিকিৎসার জন্য তাকে কৈলাসহর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়। চিকিৎসকরা জানান, জীবনের, হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। এদিকে অন্য এক পাগল প্রসেনজিতকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও তাকে পরে মুক্ত করে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে জীবন।