আগরতলা: মারাত্মক একটা দুর্ঘটনা ক্ষণিকের মধ্যে ঝলসে দিয়ে গেল প্রাণ। সবার সামনে ঝলসে গেল একের পর এক দেহ। মানুষ হাহাকার করছে!
ত্রিপুরায় উল্টোরথের ঘটনায় সারা রাজ্য স্তম্ভিত। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ঘটনাস্থল দেখেছেন।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন,
“আজ (২৮ জুন) সন্ধ্যায় কুমারঘাটের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নিই।
এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যেই সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে এককালীন ৪ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি, আহত ১৬ জনের চিকিৎসার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও, আহতদের মধ্যে যাদের আঘাত ৬০ শতাংশের উপরে তাঁদেরকে আড়াই লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা এবং ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ আঘাতের ক্ষেত্রে ৭৪ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি, জেলা শাসকের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটির দ্বারা এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জী, নিহতদের ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করেছেন।
তাঁর জন্য ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি”।
তিনি আরো লিখেছেন, “এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া প্রাণগুলোকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব কিন্তু, আগামীতে যেনো কোনোভাবেই কোথাও এধরণের হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি না হয় তার জন্য সর্বোতভাবে সচেষ্ট থাকবে রাজ্য সরকার।
আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যিই মর্মাহত, যাবতীয় বিষয়ে সরকার তদন্ত করবে। তবে এধরণের কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা যেন আগামীতে না হয় তার জন্য জনসাধারণকেও সতর্ক ও সজাগ হতে হবে”।
জানা গিয়েছে, কুমারঘাট ব্লক চৌমুহনী পৌঁছতেই আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সঙ্গে স্পৃষ্ট হয় লোহার স্ট্রাকচারে তৈরি কুমারঘাট ইসকনের রথ।
রথের সংস্পর্শে থাকা বেশ কয়েকজন সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন অনেক ব্যক্তি।
মূলত এই রথ এত উঁচু করা মোটেও উচিৎ নয়।একটা নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত রথ রাখতে হয়, তাছাড়া যা বিপদ ঘটার তো ঘটেই গেল।