আগরতলাঃ রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট (Tripura Assembly Poll)। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকমের পদক্ষেপ করা হয়েছে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)।
আগামিকাল অর্থাৎ ১৬ ফেব্ৰুয়ারি ত্ৰিপুরার (Tripura) জনগণ আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিজেদের প্ৰতিনিধি নির্বাচন করবে।
যদিও বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট, তৃণমূল এমনকি জনজাতি দল তিপ্রা মথাও শাসক BJP-র বিরুদ্ধে ভোটে সন্ত্রাসের পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।
এক দফায় ৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ত্রিপুরায় ভোট শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে এবং ভোটদান পর্ব চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত।
ত্রিপুরা জুড়ে মোট ৩ হাজার ৩৩৭ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে ১১০০ টি স্পর্শকাতর এবং ২৮ টি আরও গুরুতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটদান প্ৰক্ৰিয়া নিশ্চিত করতে ত্রিপুরা জুড়ে ২৫ হাজার কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তদুপরি, ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ত্রিপুরা পুলিশের ৩১ হাজার কর্মীও বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে। ত্ৰিপুরায় মোট ২৮.১৩ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ১৩.৫৩ লক্ষ মহিলা ভোটার রয়েছে। ২৫৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন, যার মধ্যে ২০ জন মহিলা প্ৰার্থী।
বিজেপি ৫৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং তার সহযোগী আইপিএফটি (IPFT) ত্রিপুরার ছয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
সিপিআই-এম(CPIM) ৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং তার জোটের শরিক কংগ্রেস (Congress) ১৩টি আসনে লড়ছে। অন্যদিকে, টিপরা ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
ইতিমধ্যে, তৃণমূল(Trinamool) থেকে ২৮ টি আসনে মনোনীত প্রার্থী দিয়েছে, যেখানে ৫৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপি(BJP) ১২ জন মহিলা প্রার্থী দিয়েছে। সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি। ভোট গণনা আগামী ২ মার্চ।
নজরকাড়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা (BJP), সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।