আগরতলাঃ ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী জোড়া শিল্পতালুক হচ্ছে বোধজংনগর এবং আর কে নগর ইন্ডাস্ট্রিয়েল কমপ্লেক্স। পৃথক এই দুটি শিল্প তালুকে বাঁশ প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে মাঝারি আকারের শিল্প খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ইত্যাদি রয়েছে।
এই দুইটি শিল্প কেন্দ্রের শিল্প উদ্যোগীরা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান। তাদের এই সমস্যার বিষয়ে খোঁজ নিতে প্রথম বারের মতো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক ডা মানিক সাহা নিজে শিল্পাঞ্চলে ছুটে যান এবং কথা বলেন মালিক পক্ষের সঙ্গে।
শনিবার বোধজংনগরে কারখানার মালিকদের নিয়ে একমত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় এক একজন কারখানা মালিক তাদের নিজ নিজ সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
সব শেষে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অভিমত বক্তব্য আকারে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা ও আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হলে উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হবে।
আগের তুলনায় বর্তমান সরকারের সময় ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার “ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন স্কিম – ২০২২” নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এর ফলে রাজ্য ও বহিঃ রাজ্যের শিল্প উদ্যোগীরা ত্রিপুরায় বিনিয়োগ করতে অনেক বেশী উৎসাহিত হচ্ছে। সরকার বোধজং নগর ও আর কে নগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য কাজ করছে।
রাজ্যে আগের তুলনায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান। চাহিদা বেড়েছে গ্যাস ও বিদ্যুতের। শিল্প উদ্যোগীদের এই দুটি সমস্যা নিরশনে জন্য সরকার চেষ্টা করছে। ২২.০১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি’ স্কীমে শিল্পের বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে প্রস্তাব রয়েছে।
শিল্প উদ্যোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো সম্পর্কে অবহিত হন এবং এই কমপ্লেক্স এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নতি সাধন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিটগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার বিষয়ে তাদের আস্বস্ত করেন।
বোধজংনগরের বাঁশ ভিত্তিক একটি কারখানায় উৎপাদিত বাঁশের ফ্লোর টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে ভারতের নবনির্মিত পার্লামেন্ট হাউসে জেনেও তিনি খুশি ব্যক্ত করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কিছু কারখানা ঘুরে দেখেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।