ঢাকা: আবারো ত্রিপুরায় (tripura) আটক সন্দেহজন বাংলাদেশী (bangladeshi) চোর। পশ্চিম জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশ (bangladesh) সীমান্ত সংলগ্ন সিধাই মোহনপুর (mohanpur) এলাকায়। ঐ এলাকার স্থানীয় লোকজন ছয় জন যুবককে দেখতে পান।
ঐ যুবকদের গতিবিধি দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তখন তারা তাদের ডেকে কথা বলেন। কিন্তু ওই যুবকদের কথাবার্তা শুনে মানুষের সন্দেহ হয়।
তখন তারা যুবকগুলোকে ধরে গণধোলাই দেন ও স্থানীয় সিধাই থানায় খবর দেন। কিন্তু এর মধ্যে সন্দেহজন দুই যুবক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কিন্তু এদের মধ্যে দুইজনের আঘাত গুরুতর হওয়া তাদেরকে জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ প্রহরায় তাদের জিবি হাসপাতালে (gb hospital) চিকিৎসা চলছে। আহতরা হলেন সাদ্দাম হোসেন ও সেলিম আলী।
হাসপাতালের বেডে বসে তাদের দাবী তাদের বাড়ি বাংলাদেশে,(bangladesh) তবে তারা চোর নয়। প্রথম বার ত্রিপুরা (tripura) এসেছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বলে জানায়। কি কারনে এসেছে।
কার বাড়িতেই বা এসেছে এইসব প্রশ্নের কোন সঠিক জবাব দিতে পারেনি। তারা একসঙ্গে ৬ জন এসেছিল। সাধারণ মানুষ যখন তাদের ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল।
তখন দুইজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে তারা নিজেরাই জানিয়েছে। রাজধানী আগরতলা (agartala) এবং আশেপাশে এলাকাগুলিতে নিত্যদিন চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ চোরদের হদিস পাচ্ছে না।
এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য নিজেরাই পাহারা দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সন্দেহ এইসব চুরির ঘটনা সঙ্গে জড়িত রয়েছে বাংলাদেশী (bangladeshi) চোরেদের একাংশ।
এদিকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকার পরও অবাধে বাংলাদেশী (bangladeshi) নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঘটনায় সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বিএসএফের (bsf) ভূমিকা নিয়োগ প্রশ্ন উঠেছে।
গত কদিন আগেও আগরতলা (agartala) শহর থেকে ১১ জন অবৈধ বাংলাদেশি (bangladeshi) অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়। এরপর আবার ৬ জনকেপাওয়া গেল।
এভাবে অনুপ্রবেশের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও পুলিশ এবং বি এস এফ (bsf) বাহিনীর ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মানুষ।