ফের বির্তকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তবে এবার কোনও রাজনৈতিক কিংবা লাগাম ছাড়া মন্তব্যের জের নয় বরং তাঁর নিজের স্ত্রীই এবার বির্তকের কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁকে।
স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের স্ত্রী নীতি দেব৷
সূত্রের খবর, গত ১৬ এপ্রিল দিল্লির একটি আদালতে এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করেছেন তিনি৷ সম্ভবত শুক্রবার অর্থাৎ আজ হতে চলেছে সেই মামলার শুনানি৷ আইনজীবী মহলের অনুমান, যদি দোষ প্রমাণিত হয় তবে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে পারেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী৷ এমনকী, নির্বাচনের মরশুমে এই ধরনের ঘটনা গেরুয়া শিবিরকেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের৷
জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটে অবস্থিত স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখায় ডেপুটি ম্যানেজার পদে কর্মরত নীতি ৷ ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় সর্বদাই স্বামীর পাশে পাশে দেখা যেত তাঁকে৷ দীর্ঘদিনের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতা দখল করলে, একধিক সংবাদমাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে৷ একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি এমন কাউকে স্বামী হিসাবে চাই না, যার জীবন হতাশায় পরিপূর্ণ৷ কারণ তাহলে তিনি তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে পারবে না, যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে৷ এমনকী একজন হতাশ ব্যক্তি ব্যক্তিগত জীবনেও খুশী থাকতে পারেন না৷ তাই আমি চাই, আমার মতো ত্রিপুরাবাসীও যাতে আনন্দে থাকেন”।
৪৮ বছর বয়সী বিপ্লব কুমার দেব বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পূর্ব ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবা–মা ত্রিপুরা চলে যান। এরপর সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান তারা।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসার পর থেকেই বিতর্ক বিপ্লব দেবের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে৷ বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তাঁর। কখনও তিনি মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকার গল্প শুনিয়েছেন৷ আবার কখনও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে, ওয়াকিবহাল মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ হয়েছেন হাসির খোরাক৷ তবে এবার যেভাবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় উঠছে, তার প্রভাব বিপ্লব দেবের রাজনৈতিক জীবনে পড়ে কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।