বাংলা ও উপজাতি সংস্কৃতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে ত্রিপুরায়। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এক সময়ের উপজাতি প্রধান এই রাজ্যে বাঙালিরা ৭০ শতাংশ, অন্যান্য উপজাতিরা মিলে মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। এখানে রিয়াং উপজাতিদের সংখ্যা (১৬.৬) শতাংশ, জামাতিয়া (৭.৫) শতাংশ, চাকমা (৬.৫) শতাংশ, হালাম (৪.৮) শতাংশ, মগ (৩.১) শতাংশ।
ত্রিপুরায় বাংলা, বিষ্ণপ্রিয়া মণিপুরি, মণিপুরি, ত্রিপুরী, জামাতিয়া, রিয়াং, নোয়াটিয়া, মুরাজিং, গারো, কুকি, মিজো, মগ, মুন্ডা ইত্যাদি ভাষাভাষীর লোক বসবাস করে।
এত বৈচিত্র সত্ত্বেও আর্থ-সামাজিক, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর লোকজন ত্রিপুরাকে সমৃদ্ধ করেছে। দেশের সঙ্গীত, আর্ট, সাহিত্যের ক্ষেত্রেও ত্রিপুরার অবদান উল্লেখযোগ্য।
এক সময়ের উপজাতি প্রধান রাজ্য ত্রিপুরা, হিন্দু বাঙালি প্রধান রাজ্যে পরিণত হলেও। এখানে উপজাতি জনগোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গে বাঙ্গালিদের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। জনগোষ্ঠীয় লোকদের সঙ্গে বাঙ্গালিদের বৈবাহিক সর্ম্পকও গড়ে উঠতে দেখা গেছে। এভাবে হিন্দু বাঙ্গালিদের সংগে উপজাতীয় লোকদের মানসিকতার ফারাক কমছে। উপজাতিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে হিন্দু বাঙ্গালিদের, অপরদিকে দুর্গা পূজা সহ হিন্দু বাঙ্গালিদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোকজন।