আগরতলাঃ বিধানসভা ভোটে সংঘর্ষ এড়াতে পারলো না ত্ৰিপুরা(Tripura Assembly Poll)। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে জমা পড়ল শতাধিক অভিযোগ। কার দখলে থাকবে ত্ৰিপুরা? BJP-র প্ৰত্যাবর্তন না কি কংগ্ৰেসের (Congress) সঙ্গে জোট গড় বামেরা (CPIM) থাকবে ক্ষমতায়। ত্ৰিপুরায় (Tripura) বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যেই হয়ে গেল ভোটগ্ৰহণ পর্ব। অফিসিয়াল নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৩১.২৩ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এদিন ১টা পর্যন্ত ত্রিপুরায় ভোটদানের হার ৫১.৩৫ শতাংশ।
ত্ৰিপুরার(Tripura) দিকে গোটা দেশের নজর। বুধবারের পর এদিনও বাম কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্ৰ আক্ৰান্ত হয়েছেন CPIM কর্মী। বুধবার কোথাও ভোটারদের মার, তো আবার কোথাও সিপিআইএম কর্মীদের বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোটের দিন উদয়পুর, বেলোনিয়ায় বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া গেছে।
৬০ আসনের ত্ৰিপুরা(Tripura) বিধানসভার ভোটকে শান্তিপূর্ণ করতে এসেছে বিশাল কেন্দ্ৰীয় বাহিনী। রয়েছে অন্যান্য রাজ্যের রিজার্ভ পুলিশ। কিন্তু তারপরও অশান্তি। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও ইতিবাচক দিকটি হলেও হিংসার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকাল হতেই ত্ৰিপুরার (Tripura) বুথে বুথে জনতার ঢল চোখে পড়েছে।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar, Former CM of Tripura) বৃহস্পতিবার অভিযোগ করে বলেন – “বিজেপি-সমর্থিত দুর্বৃত্তরা” ধানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে অনেক জায়গায় বামফ্রন্টের পোলিং এজেন্টদের উপর হামলা করেছে। তিনি দাবি করেন যে ভোটাররা বুথে ভোট দিতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এদিন ত্ৰিপুরার প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী মানিক সরকার ভোটে না দাঁড়ালেও নিজের ভোটাধিকার সাব্যস্ত করে ঘুরলেন অলিতে গলিতে।
এবার ত্ৰিপুরায় বিধান সভা নির্বাচনে BJP ৫৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এবং তার সহযোগী আইপিএফটি (IPFT) ত্রিপুরার ছয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
সিপিআই-এম(CPIM) ৪৭টি আসনে এবং তার জোটের শরিক কংগ্রেস (Congress) ১৩টি আসনে লড়েছে। অন্যদিকে, টিপরা ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূল ২৮টি আসনে প্ৰার্থী দিয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্ধারণ হয়ে গেছে প্ৰার্থীদের ভাগ্য। ফলাফল জানা যাবে আগামী ২ মার্চ।