আগরতলা: ত্ৰিপুরায় (Tripura) BJP-র ভরাডুবির ছবি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন লোকসভার কংগ্রেসের সাংসদ গৌরব গগৈ (Congress MP Gaurav Gogoi)। তিনি দাবি করে বলেন- গেরুয়া দল (BJP) নির্বাচনে জেতার জন্য রাজ্য নির্বাচন এবং পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ তৈরি করছে।
প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) বলেন যে বিজেপির নৌকা ডুবির চিত্র স্পষ্ট এবং এই নৌকাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Home Minister Amit Shah) রাজ্যে আসছেন।
গৌরবের দাবি,
“প্রথমে বিজেপি ভেবেছিল যে ত্রিপুরার ভোটারদের হুমকি দিয়ে এবং আক্রমণ চালিয়ে, দলীয় কর্মীদের বিরোধীদের আক্রমণ করে তারা আবার সরকার গঠন করবে। তবে জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই যে কোনও ভয় ছাড়াই তারা এই নির্বাচনে বিজেপির নৌকা ডুবানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হিংসা, পেশীবল এবং অর্থ শক্তি সত্ত্বেও লোকেরা BJPকে ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’’।
গৌরব (Gaurav Gogoi) অভিযোগ করে বলেন যে BJP ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছে যে দল অর্থ এবং পেশী শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে জিততে পারবে না, তাই দলটি রাজ্য নির্বাচনী যন্ত্রপাতি এবং পুলিশ প্রশাসনের (Police Administration) উপর চাপ তৈরি করছে।
গগৈ বলেন-
“বিজেপি পেশী এবং অর্থ শক্তি ব্যবহার করে এই নির্বাচনে জিততে পারে না তাই তারা প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীকে নিয়ে আসছে, তাতেও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাই এখন তারা সরকারী আধিকারিকদের উপর, নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারে যা বিজেপির একটি নতুন ষড়যন্ত্ৰ” ।
গৌরব (Gaurav Gogoi) অভিযোগ করে বলেন- ১১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ রাজ্যের নির্বাচন এবং পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
গৌরব বলেন-
“কারণ কি? কোনো মিটিং থাকলে তারা অফিসিয়াল সময়ে করতে পারেন। যাতে সংবাদমাধ্যমও এসে প্রশ্ন করতে পারে। বৈঠকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে তারা রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের এবং পুলিশের উপর চাপ তৈরি করছে। যদি তারা মনে করে যে তারা এইভাবে এই নির্বাচনে জিততে পারবে তবে এটি একটি বড় ভুল হবে”।
গৌরবের (Gaurav Gogoi) কথায় ত্রিপুরার জনগণ ১৬ ফেব্রুয়ারি CPIM এবং কংগ্রেসের (Congress) পক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য অপেক্ষা করছে। তিনি আরও বলেন – নয়াদিল্লিতে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (All India Congress Committee) একটি প্রতিনিধি দল ত্রিপুরার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনের সাথে দেখা করবে।