বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ভুলবেন না, শ্রদ্ধার সঙ্গে এই প্রসংগ উল্লেখ করে ভারতবাসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ত্রিপুরা ভ্রমণে আসা বাংলাদেশের সহকারী উচ্চায়ুক্ত কীর্তি সাকমা এবং উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
তাঁরা ত্রিপুরার সিপাহি জেলার মেলাঘর নামক গ্রামটি ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ উচ্চ ন্যায়ালয়ের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদুল রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছিলেন হেমদারঞ্জন ত্রিপুরা, নীলোৎপল ত্রিপুরা প্রমুখ বীর যোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অংশগ্রহণ বিষয়ে নীলোৎপল ত্রিপুরা বলেছিলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্ব অঞ্চলের বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত তদানিন্তন রামগড় মহকুমার (বর্তমান খাগড়াছড়ি) সর্বস্তরের ত্রিপুরা–রা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন সক্রিয়ভাবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদুর রহমান ভারতের সামরিক বাহিনির গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকার কথা উল্লেখ করে আরো বলেন যে, ‘ভারত আমাদের মুক্তির জন্যে সংরামে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আকাশমার্গ–ভূখণ্ডে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম এই তিন দিক থেকে আক্রমণ চালানো হয়েছিল’।
১৯৭১ এর স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, ৭১ এই ত্রিপুরার মেলাঘরেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের দ্বিতীয় মূখ্য কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল।