৯৭ শতাংশ স্বাক্ষরতার হারে দেশে শীর্ষস্থান দখল করা ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে বিজেপি শাসনাধীন সরকার ধ্বংস করে ফেলতে চাইছে। বিরোধি দলের নেতৃত্ব, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই দৃঢ় মন্তব্য করেন বুধবার।
রাজধানী আগরতলায় এদিন ছাত্র সংগঠনের উদ্দেশে মানিকবাবুর মন্তব্য, “বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের শৈক্ষিক বিষয়ে কোন প্রকার ঐকান্তিকতা নেই।”
সরকার ৯৬১ টি সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে ২৭ নভেম্বর এক জোরদার সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল বাম ভাবধারার ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং টিএসইয়ু-র পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, ত্রিপুরা সরকার ৯৬১টি বিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি ৫ কিলোমিটারের ভিতরে থাকা বিদ্যালয়গুলো একত্রীকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বামেরা এদিন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। তাঁদের মতে এর দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রামাঞ্চলগুলো।
শিক্ষা সকল কন্ঠের আধার আখ্যা দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র সংগঠন এবং সমাজের যুবশক্তিকে এদিকগুলোতে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানান।
বিজেপি-আইপিএফটি সরকার শিক্ষার্থীর জীবনে এভাবেই হঠকারী সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে জীবন অন্ধকার করে তুলছে।
ত্রিপুরা যখন ১৯৭২ সালে রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল, সে সময় স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৩১ শতাংশ। কিন্তু এখন সে শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭% শতাংশে। অত্যন্ত আশার বিষয় এটি।
মানিক সরকার জানাচ্ছেন, প্রায় ১ হাজার সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ করা বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত সর্বাধিক ক্ষতিসাধন করবে জনজাতি লোকেদের।