নয়াদিল্লিঃ প্যাসিভ ইউথেনেশিয়া (Passive Euthanasia) সংক্ৰান্ত নতুন নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্ৰিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। জীবনে ফিরে আসার আশা যেখানে ক্ষীণ, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্ৰিয়জনের অন্তিম মুহূর্তের কষ্টলাঘব করার সুযোগ দেয় ‘প্যাসিভ ইউথেনেশিয়া’(Passive Euthanasia) বা স্বরচিত ইচ্ছাপত্ৰ অনুসারে ইচ্ছামৃত্যু। এতোদিন এই প্ৰক্ৰিয়া চিকিৎসকদের এবং সরকারি বিশেষজ্ঞদের বিবেচনাধীন ছিল। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বিষয়টিকে আরও সহজ করে দিল।
এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রোগী, রোগীর পরিবার এবং চিকিৎসকের বিচারবোধকেই গুরুত্ব দিয়ে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) তার সাম্প্ৰতিক রায়ে সরকারি হস্তক্ষেপে রাশ টেনেছে। আদালতের রায়, বিষয়টি আর সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষ নয়, মূলত হাসপাতালই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
Supreme Courtএর ২০১৮ সালের রায় অনুযায়ী, যে হাসপাতালে রোগী রয়েছেন, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই একটি প্রাথমিক এবং একটি রিভিউ বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত নেবে প্যাসিভ ইউথেনেশিয়ার(Passive Euthanasia) ব্যাপারে। ২০১৮ সালে এই সংক্ৰান্ত একটি রায়ে নিষ্কৃতিমৃত্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুটি মেডিক্যাল বোর্ড(Medical Board) গঠনের নিৰ্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। নির্দেশ ছিল, প্যানেলের চিকিৎসকদের অন্তত ২০ বছরের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেই নির্দেশও বদলেছে নতুন রায়ে। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, চিকিৎসকদের ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই হবে। তবে মেডিক্যাল বোর্ডকে (Medical Board) প্যাসিভ ইউথেনেশিয়ার (Passive Euthanasia) ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আবেদনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ- বিচারপতি কে এম জোসেফ, বিচারপতি অজয় রস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ প্যাসিভ ইউথেনেশিয়া বা স্বরচিত ইচ্ছাপত্র অনুসারে ইচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ সরল করেছে। এর পাশাপাশি, তাঁরা ইচ্ছাপত্র তৈরি করার বিষয়টিরও সরলীকরণ করেছেন।
প্যাসিভ ইউথেনেশিয়া(Passive Euthanasia) বা স্বরচিত ইচ্ছাপত্র হল যেখানে রোগী নিজেই তাঁকে কৃত্ৰিম জীবনদায়ী প্ৰক্ৰিয়ায় না রাখার অনুমতি দিয়ে যান। এর আগে দুজন সাক্ষীর সইয়ের পাশাপাশি, একজন প্ৰথমস্তরের বিচার বিভাগীয় মেজিস্ট্ৰেট (জেএমএফসি) র সইয়ের প্ৰয়োজন হতো ইচ্ছাপত্ৰের জন্য। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত বলেছে, কোনও নোটারি অথবা গেজেটেড অফিসার সই করলেই হবে।