শিলং: আগামী ২৭ ফেব্ৰুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা নিৰ্বাচন(Meghalaya Assembly Poll)। তার আগে বুধবার সেখানে এই প্ৰথম নির্বাচনী প্ৰচার সারলনে কংগ্ৰেসের প্ৰাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। ‘ভারত জোড়ো’ (Bharat Jodo) যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ত্রিপুরার (Tripura) ভোটপ্রচারে যাননি। মেঘালয়েও (Meghalaya) এদিনই প্রথম সভা ছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির।
বিজেপিকে বিঁধলেও মেঘালয়ে এদিন রাহুলের (Rahul Gandhi) নিশানায় মূলত ছিল তৃণমূল(Trinamool)। তিনি বলেন, তৃণমূল (TMC) মেঘালয়ে লড়াই করছে শুধু BJP যাতে ক্ষমতায় আসে সেটা নিশ্চিত করতে। গোয়াতেও তৃণমূল BJPকে সাহায্য করতে গিয়েছিল। উত্তর-পূর্বেও সেটাই করছে।
মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনের(Meghalaya Assembly Poll) আগে একেবারে খোলাখুলি এক অপরের সমালোচনা করতে দেখা গেল তৃণমূল (Trinamool) এবং কংগ্ৰেস (Congress) দলের নেতৃত্বকে। তৃণমূলকে বিঁধে রাহুল বলেন- বাংলায় কী পরিমাণ দুর্নীতি আর হিংসা আপনারা জানেন। ওরা গোয়াতেও প্ৰচুর টাকা খরচ করেছে। লক্ষ্য ছিল বিজেপিকে সাহায্য করা। রাহুলের কথায়- মেঘালয়েও তৃণমূল লড়তে এসেছে বিজেপিকে সাহায্য করতে। উল্লেখ্য, মঘালয়ে এদিন এক সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তৃণমূল নেত্ৰী মমতা বলেছেন- মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে তৃণমূল। ওরা লড়াইটাই করতে পারে না।
প্ৰসঙ্গত, মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে মরিয়া বিজেপি, কংগ্ৰেস, তৃণমূল সকলেই। পাহাড়ি রাজ্যবাসীর মনে এবার কোন দল জায়গা করতে পারে সেটা অবশ্য সময়ই বলবে। উত্তরপূর্বের দুই রাজ্য মেঘালয় (Meghalaya) এবং নাগাল্যান্ডে (Nagaland) আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং গণনা হবে ২ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।