কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮’তম জন্মজয়ন্তী অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে উদযাপিত হল অসমের গুয়াহাটি মালিগাঁওস্থিত কামাখ্যা কলোনিতে । ৩০ জন কচিকাঁচা এবং বয়োজ্যেষ্ঠ শিল্পীদের নিয়ে সমস্ত জরাজীর্ণতাকে ধুয়ে–মুছে বিধান সংঘ নতুনের জয়গান গেয়ে গেল বিশ্বকবিকে স্মরণ করে।
সম্মানীয় বিশ্বজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে বিধান সংঘের নারী সদস্যদের পূর্ণ সহযোগিতায় উচ্ছ্বাসে আনন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে রবীন্দ্র সন্ধ্যা। বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে, অর্থাৎ বাঙালির চির পরিচিত লাল পাড়ের সাদা শাড়িতে সেজে গুজে রবীন্দ্রস্মরণ অনুষ্ঠানে মাতোয়ারা হয়েছেন সকলে। যে কোন উৎসবে মিলনই মুখ্য। মিলনের আনন্দই মহৎ আনন্দ। প্রমাণ করল বিধান সংঘ।
নারী সদস্যদের সমবেত সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
সংঘের নারী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২০১৯ সালের ‘মিসেস কামরূপ’ প্রতিমা দাশগুপ্ত, সুজাতা দাস, মৌসুমি কর, নুপূর পাল, সুনীতা রায়, সোমা দাস, নুপূর পাল, সুজাতা রায় প্রমুখ। তবলায় সহযোগিতা করেছেন দীপক কর।
রবীন্দ্রনাথ রয়েছেন আপামর বাঙালি তথা বিশ্ববাসীর হৃদয়ে। রবীন্দ্রনাথ তপ্ত জ্বালার শীতল আশ্রয়। তিনি বিশ্বের হৃদয়ে বিরাজ করছেন প্রবাদের মত।
রবীন্দ্র নৃত্য, রবীন্দ্র সংগীত, বেহালার সুরে রবীন্দ্র স্বর্ণালী সন্ধ্যা ভরপুর হয়ে ওঠে।
শিশুনৃত্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন, বর্ষা বণিক, সুদীপ্তা দত্ত, প্রিয়াংশী সরকার প্রমুখ। রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেছেন জগৎকিশোর দাশগুপ্ত, সৌমেন বণিক প্রমুখ প্রতিভাবান শিল্পীরা।
এছাড়া উত্তর পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে্র বাংলা বিভাগে ২৫শে’বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮’তম জন্মদিবস পালিত হয়। বিভাগীয় প্রধান ড৹ বিনীতা রানী দাস প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন। উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় অধ্যাপক–অধ্যাপিকাবৃন্দ, ড৹ অমলেন্দু চক্রবর্তী, ড৹ রমা দাস, ড৹ বরুণ কুমার সাহা, শামাশ্যাম কৃষ্ণ পুজারী চট্টোপাধ্যায়।