নয়াদিল্লিঃ সাম্প্ৰতিককালে গুজরাটে ধারাবাহিকভাবে ধরা পরেছে বেশ কিছু নেশাজাতীয় দ্ৰব্য অর্থাৎ ড্ৰাগ সরবরাহের দুষ্টচক্ৰ। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণের ড্ৰাগস। গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকায় ফের উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণের ড্ৰাগস। পাকিস্তানের একটি নৌকা (Boat) থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণের নেশাজাতীয় সামগ্ৰীগুলি।
বোটটিতে প্ৰায় ৪০ কিলোগ্ৰাম ড্ৰাগস অর্থাৎ নেশাজাতীয় সামগ্ৰী উদ্ধার হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য ২০০ কোটি টাকা বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ভারতের উপকূলরক্ষীবাহিনী এবং গুজরাট সন্ত্ৰাসবাদী বিরোধী দল মিলে যুগ্মভাবে অভিযান চালিয়ে দেশের জলসীমার ভেতরে ভেসে আসা পড়শি দেশ পাকিস্তানের বোট উদ্ধার করে। সেখানেই তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে নেশাজাতীয় সামগ্ৰীগুলি।
গুজরাটের জাখাউ উপকূল থেকে ৩৩ নটিক্যাল মাইল দূরে পাকিস্তানি বোট আল তাইয়াসাকে (Al Tayyasa) একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং গুজরাট অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) ধরেছে।
পরবর্তী তদন্তের জন্য নৌকা (Boat) সহ ছয়জন ক্রুকে জখাউতে আনা হয়েছে। গুজরাটের পুলিশের মহাপরিচালক (Director General of Police)আশিস ভাটিয়া সংবাদ মাধ্যমকে সম্বোধন করে বলেছেন, “পাঞ্জাবের জেল থেকে বড় মাদক সিন্ডিকেট কাজ করছে। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, অমৃতসর জেল, ফরিদকোট জেল এবং কাপুরথালা জেলের অপরাধীরা পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশ থেকে মাদক পাচ্ছে।”
DGP আরও জানান- জেলের ভিতরে অপরাধীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে এবং হোয়াটসঅ্যাপ কলিংয়ের মাধ্যমে ভারতে মাদকের চালান পৌঁছে দিচ্ছে।