গুয়াহাটিঃ তুরস্কে (Turkey) গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের(Earthquake) ক্ষত না শুকোতেই আবারও স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার অর্থাৎ ২০ ফেব্ৰুয়ারি রাত ৮টা ৪ মিনিটে আরেকটি ভূমিকম্প (Earthquake) আঘাত হেনেছে। ৬.৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে সিরিয়াতেও। সিরিয়া (Syria) ও তুরস্ক (Turkey) মিলিয়ে গতকালের ভূমিকম্পে (Earthquake) কমপক্ষে ৬৮০ জন আহত হয়েছেন।
গতকালের এই ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়েছে লেবানন ও মিসরে। এ তুরস্কের(Turkey) দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের(Earthquake) পর বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। তুরস্কে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা হাতায় প্রদেশের আনতাকিয়া, দেফনে ও সামানদাগির বাসিন্দা।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্ৰের মতে ভূমিকম্পের কেন্দ্ৰস্থল মাটি থেকে ২ কিলোমিটার গভীরে ছিল। ভূমিকম্প পীড়িত আনতাকিয়া শহরের বাসিন্দা মুনা আল-ওমার বেশ কয়েকদিন ধরে আশ্ৰয় শিবিরে মাথ গুঁজে আছেন। বলেন- ‘‘এমন মনে হচ্ছিল যেন আমার পায়ের নীচ থেকে মাটি দুভাগ হয়ে যাবে।’’
সিরিয়া সীমান্তের দক্ষিণ-পূর্বে ৬.৪ মাত্ৰার ভূমিকম্পের পর ৫.৮ মাত্ৰার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
আগের ভূমিকম্পে (Earthquake) যে বিল্ডিংগুলি দূর্বল হয়ে পড়েছিল সেগুলি গতকাল অর্থাৎ সোমবারের কম্পনে খসে পড়ে।
সম্ভাব্য বিপদজ্জনক বিল্ডিংগুলিতে প্ৰবেশ না করার আহ্বান জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ মন্ত্ৰী সুলেমান সয়লু।
বর্তম তুরস্ক এবং সিরিয়ার একটা বৃহৎ অঞ্চল ভূমিকম্পের (Earthquake) ফলে বিদ্ধস্ত হয়েছে। রাষ্ট্ৰসংঘের অনুমান, শুধুমাত্ৰ তুরস্কেই ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ঘর ভেঙে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্যকর্মীদের অনুমান, সিরিয়াতে কমপক্ষে ৫০ হাজার ঘর খসে পড়েছে। দুই দেশের মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও যে কত সংখ্যক মানুষ চাপা পড়ে আছে তার কোনও হিসেব নেই।