গুয়াহাটিঃ এক নারীর ১১ টি সন্তান(Mother of 11)। পরিবার পরিকল্পনা করতে তিনি বন্ধ্যাত্বকরণ করেন। এটাই তাঁর অপরাধ। তাঁর স্বামী(Husband) তাঁকে ঘর থেকে বের করে দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেওনঝাড়ে(Keonjhar district in Odisha)। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম জানকী দেহুরী(Janaki Dehuri)।
বর্তমানে ১১ সন্তানের মা জানকী ঘরের সামনেই একটি আম গাছের নীচে আশ্ৰয় নিয়েছেন। তাঁর কোলে একটি নবজাতক রয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি ফের একটি শিশু পুত্ৰ (Baby boy) সন্তানের জন্ম দিয়েছেন জানকী।
জানকী কেওনঝারের ডিমিরি গ্ৰামের (Dimiri Village at Keonjhar district ) বাসিন্দা। জানকী ও তাঁর স্বামী রবির (৪০) (Rabi Dehury) ৫ পুত্ৰ এবং ৬ টি কন্যা সন্তান ছিল। কয়েক বছর আগে একটি কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক এবং আশা কর্মীর পরামর্শ মেনে গত ১৪ ফেব্ৰুয়ারি জানকী হাসাপাতালে বন্ধ্যাত্বকরণ করিয়েছিলেন। এই তাঁর অপরাধ।
এতে তাঁর স্বামী রেগে অভিযোগ তোলেন- তাঁর স্ত্ৰী ‘বিশুদ্ধতা’ খুইয়েছে। এখন আর তাঁর স্ত্ৰী ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারবেন না।
এ সম্পর্কে জানকী (Janaki Dehury) বলেন- ‘‘১১ টি সন্তানের মধ্যে আমাদের ১০ টি সন্তান বেঁচে আছে। আমার স্বামী আমাকে পরিবার পরিকল্পনার অস্ত্ৰোপচারের জন্য ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি এখন ঘরের সামনে গাছের নিচে আশ্ৰয় নিয়েছি।’’
প্ৰীতিচান্দ ধালে নামের একজন সমাজকর্মী বলেন-‘‘ এটা অমানবিক। এই কাজকে কোনও প্ৰকারে গ্ৰহণ করা যায় না। নারীদের সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া প্ৰয়োজন। সরকার এবং প্ৰশাসনকে এগেয়ে আসতে হবে। নাগরিকদের এ বিষয়ে সজাগ করতে হবে। অন্যান্য সমাজকর্মীদেরও এগিয়ে আসা উচিত।’’
মানুষের মনে অন্ধবিশ্বাস এবং শিক্ষার অভাব যে কিভাবে একাংশ মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলতে পারে, এই ঘটনা তারই উদাহরণ।