‘গাহি সাম্যের গান/ যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব ব্যবধান’। এই অখণ্ড মনুষ্যত্ব আদর্শেরই পরিচয় দিলেন অসমের নগাঁও জেলার মানুষ।
উল্লেখ্য, অসমের নগাঁও জেলার হাইওয়ের পাশে ১৮২৪ সালে স্থাপিত পুরানিগুদাম মিনারটিকে (মিনারের মধ্যে রয়েছে একটি মসজিদ) জাতীয় পথ নির্মাণের জন্যে ভাঙার কথা উঠতেই এলাকার হিন্দু–মুসলিম নির্বিশেষে সকলে মিনার বাঁচানোর জন্যে এগিয়ে আসেন। মিনার রক্ষা পায়।
এই মিনারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের আত্মা ! হিন্দু–মুসলিম নয়।
প্রসংগত বলা বাহুল্য যে, মিনার ভাঙা চেষ্টা এবারই প্রথম নয় । এর আগে ২০১৫ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল। তখনো সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু–মুসলমান এগিয়ে আসেন মিনার উদ্ধারে।
সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন বোরা প্রথম মিনার ভাঙ্গার বিরোধিতা করার কাজে এগিয়ে আসেন। তিনিই বিশাল জনমত গড়ে তোলেন এলাকায়। সমগ্র এলাকাবাসী তাঁর প্রতিনিধিত্বে অগ্রসর হয়েছেন।
কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় যে, মিনার কোনমতেই বাঁচানো সম্ভব নয়। তখনই শুরু হয়ে যায় ক্রাউড ফান্ডিং ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার কার্য। জনগণের ‘মিনার বাঁচাও’ আন্দোলন দৃষ্টি আকর্ষণ করে হরিয়ানার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের। ফার্মের পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মিনার অক্ষত রেখে ভিত থেকে তুলে নিয়ে প্রায় ৭০ ফুট অন্যত্র সরানো হচ্ছে। এই কাজে এখন পর্যন্ত খরচ পড়ছে ৮ লাখ টাকা।
চিত্তরঞ্জন বোরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের কোন চেষ্টা নয়, সম্পূর্ণ কাজ সাধারণ জনগণের উদ্যোগেই হয়েছে।