ইম্ফল: উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্য মণিপুরের ডেঙ্গুতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। চলতি বছরে মণিপুরে ৩৭৫ টি ডেঙ্গু কেস ধরা পড়েছে। ২০১৯ সালে থেকে এযাবৎকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ডেঙ্গুতে আক্ৰান্ত হয়েছে। এ বছর মণিপুরে ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালে মণিপুরে মোট ৩৫৯টি ডেঙ্গুর আক্ৰান্তের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া, মণিপুরের আরও পাঁচজন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মণিপুরের ১২টি জেলায় ডেঙ্গুর রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মণিপুরে টেংনুপাল জেলায় (Tengnoupal district) সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। অসমেও বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু আক্ৰান্ত হয়েছে।
ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে Assamএর কার্বি আংলং জেলায়। রাজ্যের ডিফুর সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই সপ্তাহে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাল রোগ।”আসন্ন মহামারী” এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংক্রমিত মশার কামড়ে ডেঙ্গু মানুষের মধ্যে ছড়ায়।
ডেঙ্গু ভাইরাস প্রাথমিকভাবে এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এডিস মশা কৃত্রিম জলের পাত্ৰে (artificial water containers) ডিম পাড়তে পছন্দ করে। তারা মানুষের কাছাকাছি বসবাস করে। ডেঙ্গুর মশা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর চেয়ে মানুষের রক্ত খেতে ভআলোবাসে। এই মশাগুলি সাধারণত ভোরে এবং সন্ধ্যায় কামড়ায়। এই মশাটি একবার কামড়ালেই ডেঙ্গু আক্ৰান্ত হতে পারে।
ডেঙ্গুর লক্ষণগুলির (Symptoms include) মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্ৰায় জ্বর (high fever), মাথাব্যথা(headache), ফুসকুড়ি (rash), পেশী (muscle) এবং জয়েন্টে ব্যথা (joint pain)। গুরুতর ক্ষেত্রে গুরুতর রক্তপাত এবং শক হয়, যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। রোগীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকদের যত্নের প্ৰয়োজন হয়।