উত্তর পূর্বাঞ্চলের ১৪ জন যুবতীকে নারীপাচারকারী এক চক্র সৌদি আরবে বিক্রি করার চাঞল্যকর সংবাদ সামনে আসে। এই নারী পাচারকারী দল উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য সহ অসম এবং ত্রিপুরা থেকে ১৪ জন যুবতীকে সৌদি আরবে বিক্রি করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
নারীপাচার নামক এই দুষ্কার্যে জড়িত রয়েছে এক নারী রুমানা বেগম। বিক্রির লক্ষ্যে এক যুবতীকে নিয়ে ত্রিপুরা থেকে লখনৌ যাবার পথে উত্তর প্রদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করে রুমানাকে।
রুমানাকে গ্রেপ্তার করার পরই সমস্ত তথ্য জানা যায়। জেরায় রুমানা স্বীকারোক্তি দেয় যে, নারী পাচার চক্রান্তে সে বহুদিন ধরে জড়িত। রুমানার স্বীকারোক্তিতে আরও জানা যায় যে, সে উত্তর পূর্ব এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মেয়ে পাচার করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে রমরমা ব্যবসার জাল পেতে বসেছে। দেশে রুমানার জাল বিছানো রয়েছে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে বিক্রি করা ১৪ জন যুবতীর মধ্যে সাত জনই ছিল ত্রিপুরার। আর বাকি সাত জন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের বলে জানা গেছে।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের সতর্ক অভিযানে দেশব্যাপী চলতে থাকা এই ভয়ংকর চক্রের কথা প্রকাশ্য দিবালোকে আসে। প্রদেশ পুলিশ জানানো মতে, ত্রিপুরা থেকে দুবাই নিয়ে যাবার পথে রুমানা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রুমানার সাথে থাকা এক যুবতীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, উদ্ধার করা যুবতীকে মধ্য প্রাচ্যে ২০,০০০ টাকা মাইনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রুমানা তাকে ত্রিপুরা থেকে নিয়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন চাকরির লোভ দেখিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের যুবতীদের এভাবেই ঠকিয়ে সৌদি আরবে নিয়ে গিয়ে তাদের পাসপোর্ট, ভিসা কেড়ে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রচণ্ড নির্যাতন চালিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।