রাজ্যে বাড়ল রুপান্তরকামী ভোটারের সংখ্যা। কিন্তু তাঁরা সাংসদ বা বিধায়ক হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে কোথায়? প্রশ্ন ট্রান্সজেণ্ডার সংগঠনের। কমিশনের প্রকাশ করা তথ্য মতে পশ্চিমবঙ্গে এবার সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৯৭ লাখ। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে রুপান্তরকামী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯২৭ জন। সেই সংখ্যা বেড়ে এবার হয়েছে ১৪২৬ জন। ২০১১ সালের জনগণনা মতে পশ্চিমবংগে রুপান্তরকামীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৩৪৯। অন্যদিকে ট্রান্সজেণ্ডার সংগঠনের প্রতিনিধি রঞ্জিতা সিনহা এই সংখ্যাকে ভুল দাবি করে বলেছেন, রাজ্যে আসলে রুপান্তরকামী মানুষের সংখ্যা দেড় থেকে দু লাখ। তবে রুপান্তরকামী জনগণের বেশির ভাগেরই নাম ওঠেনি ভোটার তালিকায়।
সরকার পক্ষ থেকে তাঁদের ভোট দেয়ার অধিকার দিয়েছে, চাকরির ফর্ম বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রুপান্তরকামী মানুষের নাম নথিভুক্ত করার জন্যে (others category)র জায়গা শূন্য রাখা হয়েছে। তবুও খামতি একটা থেকে যাচ্ছে। তাঁরা সমাজে যথাযোগ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না বলেই দাবি সংগঠনের নেতা রঞ্জিতার। সমাজ এখনো ঘৃণার চোখেই দেখছে তাদের। যা কাম্য নয়।
রঞ্জিতা রাগত স্বরেই জানান, দেশ অথবা রাজ্য নির্বাচনে সিনেমা জগতের কলা কুশলীরা যেমন ভাবে দাঁড়াচ্ছেন সেই সুযোগটুকু রুপান্তরকামী মানুষেকেও দেওয়া হোক। এছাড়া তাঁদের মতো মানুষকে সংসদে তুলে ধরার জন্য অন্তত এমন একজনের প্রয়োজন যিনি এই কষ্টের সমব্যাথী হতে পারেন।
এবছর সারা দেশে নতুন ভোটদাতার সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট কোটি । এই পরিসংখ্যানের মধ্যে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সের নতুন ভোটারের সংখ্যা দেড় কোটি। নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করা তথ্য মতে এবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন ভোটারের সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি। নতুন ভোটদাতার সংখ্যাগত বিচারে উত্তরপ্রদেশ ও মধপ্রদেশ পরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে। উত্তরপ্রদেশে এর সংখ্যা ১৬.৭ লক্ষ, মধ্যপ্রদেশে সেটা ১৩.৬ লক্ষ।যা আশার আলো দেখবে বলে মনে করা হচ্ছে। রুপান্তরকামী মানুষ সহ নতুন ভোটদাতার অংশগ্রহণে আগামি পাঁচ বছরের শাসনভার কার হাতে ওঠে সেটিই এখন দেখার বিষয়।